প্রতিবাদে, প্রত্যাখ্যানে ইতিহাস যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে: টাইমলাইন
তোরণে, দেওয়ালে বয়কটের স্লোগান। বিক্ষোভে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপকেরা। রাজ্যপালকে কালো পতাকা। উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি।ভাষণ উপাচার্য, রাজ্যপালের। মঞ্চে এলেও শংসাপত্র নিলেন না একজন বেস্ট গ্র্যাজুয়েট। আরও অনেকে হাঁটলেন সেই পথে। সংক্ষেপে, এটাই যাদবপুরের এবারের সমাবর্তন।
সমাবর্তন এক নজরে
সকাল ৯টা-
কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় মোড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। তবে কনভোকেশনের গেটের ওপরেই লেখা বয়কটের স্লোগান।
সকাল সাড়ে ৯টা-
ওপেন এয়ার থিয়েটারের বাইরে বিক্ষোভ ,স্লোগান ছাত্রছাত্রীদের। শুরু হল দেওয়াল লিখন। হাজির দেওয়াল মোছার লোকও। দেওয়াল লেখার পরেই শুরু হয়ে গেল মোছার পালা
১০টা ৫-
বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখালেন বিক্ষোভকারীরা। চলল স্লোগান। বিক্ষোভ সরিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন রাজ্যপাল
সাড়ে ১০টা
প্রথমে বক্তব্য রাখলেন উপাচার্য। শান্তি বজায় রাখার আর্জি।
ছাত্র সমাগমের বহর দেখে হতাশ প্রধান অতিথি শঙ্কর পাল। বললেন, যাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তারাই তো নেই। মঞ্চে সম্মাননা নিতে এলেন সেরা স্নাতক গীতশ্রী সরকার। সম্মান নিচ্ছেন না তিনি, জানিয়ে দিলেন রাজ্যপালকে।
বেলা ১১টা
একদিকে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সমাবর্তন বয়কট। চলছে অবস্থান বিক্ষোভ, স্লোগান। বিক্ষোভে সামিল ছাত্র ছাত্রী, অধ্যাপকরা।
সাড়ে ১১টা
বক্তব্য রাখলেন রাজ্যপাল। ছাত্রছাত্রীদের বললেন, পুরনো ভুল মনে রেখো না। ক্ষমা করে দাও।
১২টা ১৫
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন রাজ্যপাল ও উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী। উপাচার্য বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সামান্য ভিড় বাড়ল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে।
২টো ১৫
শুরু হল তৃতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান। সার্টিফিকেট বিলি বিএ এমএর। অনেকে শংসাপত্র নিতেই আসেননি। মঞ্চে উঠেও শংসাপত্র নিলেন না অনেকে।
দুপুর ৩.৪৫
বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু আন্দোলনকারীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ওঠে স্লোগান।
বিকেল ৪.৩০
অনশন ভঙ্গ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা।