শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় ও অর্ণবাংশু নিয়োগী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিসের দ্বারস্থ হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের ছাত্র নেতা মেবার হোসেনের অভিযোগ, উপচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তাঁরা। বুধবার ছাত্র বিক্ষোভের জেরে জখম উপাচার্যকে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 


মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ কাউন্সিলিংয়ের বৈঠক চলাকালীন 'ইউনিয়ন নয়, কাউন্সিল' এই দাবিতে বাইরে অবস্থান শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। ঘেরাও হয় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্যরা। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয় যে, রাজ্যের তরফে ইউনিয়ন সংক্রান্ত কোনও উত্তর আসেনি। উপরমহলের নির্দেশিকা ছাড়া নিয়ম বদল করা সম্ভব নয়, এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অবস্থানকারীরা। অভিযোগ, উপাচার্য এবং সহউপাচার্যকে ধাক্কা দেন ছাত্ররা। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ধস্তাধস্তির পেছনে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। তাঁদের ধাক্কায় আহত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরাও।  মঙ্গলবার রাতভর অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান করেন ছাত্রছাত্রীরা। 


আরও পড়ুন- পুলওয়ামা: নিজেকে সিআরপিএফ পরিচয় দেওয়া এই বাঙালি যুবক আদতে ঠগ
    
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বুধবার সকালে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, সেটা দেখেছেন তিনি। তবে শিক্ষক হিসেবে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন না।     


আরও পড়ুন- চালক হলেন ইমরান, মোদীকে চটালেন না সৌদির যুবরাজ, করলেন এই কাজ


তবে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ওই অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে, সৌনক মাঝি, দেবপম গঙ্গোপাধ্যায়, দেবরাজ কোলে-সহ আরও কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিস। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনও অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বলে খবর। তৃণমূল কর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।