`ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আপনি নীরব, পদক্ষেপ করেননি`, Mamata-কে চিঠি Dhankhar-র
`নির্বাচনোত্তর হিংসা` নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে সোমবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে ৫০ জন বিজেপি বিধায়ক। রাজভবনে সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) জানান,''ভোটের পর হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও কোনও বক্তব্য আসেনি।'' এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। তাতে তিনি লিখেছেন, ''নির্বাচনোত্তর হিংসায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত, নির্যাতিত মহিলারা, বিরোধীদের উপরে হামলা ও সম্পত্তি নষ্টের ঘটনা ঘটেছে। স্বাধীনতার পর এমন পরিস্থিতি আসেনি। তা সত্ত্বেও আপনি নীরব। কোনও পদক্ষেপ করেননি।'' রাজ্যপাল শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করছেন বলে পাল্টা দাবি করেছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
মঙ্গলবার দিল্লি গিয়েছেন ধনখড়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। চিঠিতে রাজ্যপাল (Governor Jagdeep Dhankhar) লিখেছেন,''প্রাণ বাঁচাতে মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু আপনি নীরব থেকেছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। ঘোষণা করেননি পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ। এতে একটা বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে, ঘটনাগুলির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আপনার অবস্থান রাজ্যের বিশাল অংশের মানুষকে আশাহত ও অসহায় করে তুলেছে। এই ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা লজ্জিত করছে সংবিধানকে।
প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে ধনখড় মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ও পুলিসের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে পুলিস ও প্রশাসনকে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
'ভোট পরবর্তী হিংসা' কবলিত এলাকাগুলিতে তাঁর সফরের কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar)। তাঁর কথায়, ''শাসক দলের বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁরা হামলা ও লুঠ, ধর্ষণের শিকার। খুন থেকে সম্পত্তি ধ্বংসের মতো ঘটনা ঘটেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি সহমত হবেন, এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। গণতন্ত্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কেন মানুষকে অত্যাচার সইতে হবে?''
১৭ মে নারদকাণ্ডে ৪ নেতার গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির উল্লেখ রয়েছে রাজ্যপালের চিঠিতে। ওই ঘটনা গণতন্ত্রের বিরোধী বলে মনে করেন ধনখড়। তিনি লিখেছেন,''আমি আশা করছি, ইয়াস বিপর্যয় ও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আমায় অবগত করবেন। মন্ত্রিসভায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা দরকার। আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে পদক্ষেপ করুন। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দিন। হিংসা রুখতে ব্যর্থতার জন্য প্রশাসন ও পুলিসকে দায়বদ্ধ করুন।''
রাজ্যপাল নিরপেক্ষ নন বলে নিশানা করেছেন তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, ''রাজ্যপালকে ওঁর সাংবিধানিক ভূমিকা মনে করাতে চাই। নিরপেক্ষ হয়ে সেতুবন্ধনের কাজ করা উচিত। উনি বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতো আচরণ করছেন। শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করছেন। আরও উস্কানি দিচ্ছেন। ওঁকে অবিলম্বে ডেকে নেওয়া উচিত দিল্লির। এমন মানুষের রাজ্যপাল থাকার দরকার নেই। ওঁর সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান নেই৷ অযথা তিনি বেড়ে খেলছেন।
বিরোধী দল কয়েক গোল খেয়েছে। খেদিয়ে বিদায় করেছে মানুষ। তাই অভিসন্ধি খুঁজে বেরাচ্ছেন।''
আরও পড়ুন- সময় বেঁধেছেন Suvendu, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা? আইনে ভরসা রেখে জল্পনা বাড়ালেন Mukul