Jawhar Sircar: রাজ্যসভা থেকে ইস্তফার পর ফের মমতার `মুগ্ধ` জহর
Jawhar Sircar: জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে কর্মবিরতি শেষ করে কাজে যোগ দেন তার জন্য বারেবারেই আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে বারে বারেও মেইল করে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে বসতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ডাক্তাররা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তা প্রত্যাখান করেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর ঘটনায় দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে বারবারেই সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকার। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয়তা নিয়েও কথা তোলেন তিনি। শুধু তাই নয় সাংসদপদ ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিন। শেষপর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে গিয়ে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে আসেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে যান স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থালে। মমতার ওই পদক্ষেপ দেখেই জহর সরকার এক্স হ্যান্ডেলে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা একটি কথা।
আরও পড়ুন-
জহর সরকার লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা শেষ (৮ সেপ্টেম্বর) চিঠিতে আমি বলেছিলাম, “আমি গত একমাস ধৈর্য ধরে আর জি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি আপনি কেন সেই পুরানো মমতা ব্যানার্জীর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না।” সেটাই হল শেপর্যন্ত।
জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে কর্মবিরতি শেষ করে কাজে যোগ দেন তার জন্য বারেবারেই আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন থেকে বারে বারেও মেইল করে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে বসতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ডাক্তাররা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তা প্রত্যাখান করেন। শেষপর্যন্ত নবান্নে গিয়েও ফিরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ তাদের দাবি মতো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি লাইভ টেলিকাস্ট করতে রাজী হয়নি সরকার। এতে বিরুক্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। আমি পদত্যাগ করতেও রাজি আছি, ওরা বিচার পাক। আমরা ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করছি। ডাক্তার ভাইবোনেদের যাঁরা এসেছেন এখানে, আসতে বলা হয়েছিল, তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তাঁরা আসবেন বৈঠকে। এই বৈঠকটা কিন্তু আমার চিঠি দিয়েছিলাম প্রথমে। ওনারা জবাবে আসবেন বলেছিলেন। সেজন্যই বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য়, নবান্নে গিয়ে বৈঠক ভেস্তে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে আশা ছাড়বেন না তা একপ্রকার জানাই ছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব ঢংয়ে শনিবার দুপুরের সেটাই করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি চলে গেলেন জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে। গত ৮ সেপ্টেম্বর চিঠিতে জহর সরকার যেটা বলেছিলেন সেটাই করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে টাইমিংটা একেবারেই তাঁর নিজের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। সেই নির্দেশ অমান্য করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্নে বারবার জুনিয়র ডাক্তার দের ডাকা হয়েছে। নবান্নে অপেক্ষা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাদেও বরফ গলেনি। এবার সরাসরি ডাক্তায়দের কাছে গিয়ে কর্মবিরতি শেষ করার আবেদন করলেন। ফলে বল এখন ডাক্তারদের কোটে।
মমতা গভীর আবেগের সঙ্গে আজ বললেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসিনি, আমি দিদি হিসেবে এসেছি। আমি যখন এসেছি কাজ করবই। এই আন্দোলনে রোদে-বৃষ্টিতে আপনাদের খুব কষ্ট হয়েছে। আমিও আপনাদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। আপনাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে ভাবব। আমাকে একটু সময় দিন। যারা দোষ করেছে তারা শাস্তি পাবে। আপনারা কাজে যোগদান করুন। সিবিআইকে বলব দ্রুত তদন্ত শেষ করব। কোনও ডাক্তারেরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নয়। আমি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। আমার এটা শেষ চেষ্টা।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)