অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: নতুন বছরের প্রাক্কালে সংশোধন ও ন্যায়বিচারের বার্তা নিয়ে সরস্বতী ভান্ডারের প্রখ্যাত লেখিকা ঝর্ণা ভট্টাচার্য একটি অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি সেন্সর ২০২৪ চালু করেছেন। এই উদ্যোগটি গত বছরের ভুল এবং অন্যায়কে "কেটে ফেলার" প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত, যা সমাজের চ্যালেঞ্জগুলির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং একটি নতুন ও ন্যায্য শুরুর আহ্বান জানায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেন্সর ২০২৪-এর ধারণা: 
'মানুষ বড় কাঁচির মতো', মন্তব্য করেছেন ভট্টাচার্য, বোঝাতে চেয়েছেন যে এই কর্মসূচির প্রতীকী থিমটি অতীতের ভুল, পক্ষপাত এবং অন্যায় দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় এবং অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য জায়গা তৈরি করে। এই অনুষ্ঠানটি সেন্সরশিপের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে, যা একদিকে ঐতিহাসিক সরঞ্জাম, অন্যদিকে আধুনিক চ্যালেঞ্জ। এতে সেন্সরশিপের বিভিন্ন প্রকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে:  ১. রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপ: সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ।  
২. গোষ্ঠী সেন্সরশিপ: সামাজিক বা সমষ্টিগতভাবে ধারনা দমনের প্রবণতা।  
৩. স্ব-সেন্সরশিপ: ব্যক্তিগত ভয় বা সামাজিক চাপে নিজের চিন্তা দমন করা।  


ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট  
ভারতে সেন্সরশিপের ধারণাটি ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে শুরু হয়, যখন নাটকীয় বিষয়বস্তুকে উত্তেজক বা ধ্বংসাত্মক মনে করে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেন্সর ২০২৪-এ এই ঐতিহাসিক প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে, যা মুক্ত চিন্তার শক্তিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।  


 বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ  
এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা:  
- শান্তি দাস- আইপিএস অতিরিক্ত পুলিস সুপার পশ্চিমবঙ্গ 
- সুজয় দত্ত- অভিনেতা, পরিচালক, গায়ক, সুরকার, গীতিকার 
- সুবাস রায়- আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট 
- প্রীতম দত্ত- বিজেপি নেতা 
- জয় সেনগুপ্ত- অভিনেতা 
- রাজদীপ সরকার - অভিনেতা 
- জ্যোতি মুখোপাধ্যায়- মনস্তত্ত্ববিদ 
- ঝর্ণা ভট্টাচার্য- সাহিত্যিক, লেখিকা, কবি, সমাজসেবী, গীতিকার, সুরকার, আবৃত্তিকার। এই বিশিষ্টজনেরা আলোচনা, বিতর্ক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে একটি ন্যায্য সমাজ গঠনে সম্মিলিত দায়িত্বের উপর আলোকপাত করবেন।  


আরও পড়ুন:Maharashtra: মর্মান্তিক! ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই আচমকা লুটিয়ে পড়লেন যুবক...


 অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব  
এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:  
- সমকালীন ভারতে সেন্সরশিপের প্রভাব নিয়ে প্যানেল আলোচনা।  
- অতীতের ভুল 'কেটে ফেলার' প্রতীকী প্রতিবাদ।  
- ন্যায়বিচার ও পুনর্জাগরণ থিমে অনুপ্রাণিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।  


 আন্দোলনে যোগ দিন  
সেন্সর ২০২৪ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়; এটি একটি আহ্বান। এই উদ্যোগ নাগরিকদের নিজেদের ভূমিকা নিয়ে ভাবতে আমন্ত্রণ জানায়, একটি আরও ন্যায্য এবং ন্যায়সংগত সমাজ গড়তে। নতুন বছর শুরু হোক অতীতের ভুল সংশোধন করে, ন্যায় ও সততার ভবিষ্যৎকে আলিঙ্গন করে।  


অতিথিদের বক্তব্যের সারাংশ  


এ প্রসঙ্গে ঝর্ণা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,  তিনি সেন্সর বোর্ডের ধারণা তুলে ধরেন এবং বিতর্কের মাঝে মন শান্ত ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। তিনি মেট্রোতে চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে সমালোচনার পাশাপাশি সমাজের গুরুতর সমস্যাগুলির প্রতি উদাসীনতার দ্বৈততা তুলে ধরেন। প্রীতম দত্ত জানিয়েছেন, তিনি সমাজের ভুল অগ্রাধিকারের প্রতি আঙুল তোলেন, যেখানে ব্যক্তিগত মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করা হয়, যেমন মেট্রোতে যুগলের চুম্বন, কিন্তু ধর্ষণ নির্যাতিতদের সাহায্য করা উপেক্ষা করা হয়। তিনি আসল অন্যায়গুলো মোকাবিলা করার উপর জোর দেন। আইনজীবী সুভাষ রাই ব্যাখ্যা করেন যে, মেট্রোতে চুম্বন আইনত বৈধ, যদি তা অশ্লীলতার পর্যায়ে না যায়। তিনি এই ঘটনাগুলির নিরাপদ দিকটি তুলে ধরে বলেন যে এগুলি জনসাধারণের শালীনতা লঙ্ঘন করে না। পাশাপাশি তিনি আরজি কর কেস সম্পর্কেও আইনি দিক ব্যাখ্যা করেন। পাশাপাশি জয় সেনগুপ্ত সেন্সর বোর্ডের বিভিন্ন ধরণ যেমন রাষ্ট্রীয় সেন্সরশিপ, গোষ্ঠী সেন্সরশিপ, এবং স্ব-সেন্সরশিপ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি প্রতিটির পার্থক্য তুলে ধরেন এবং ব্যাখ্যা করেন কিভাবে তারা চিন্তার স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করে।


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)