মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: আসানসোলে কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। আজই তাঁকে নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ের একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিস ও গোয়েন্দারা। শেষপর্যন্ত রাত সাড়ে নটার পর তাঁকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নয়ডা গিয়ে বিজেপি নেতাকে ধরল পুলিস


পুলিসের ঘেরাটোপে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে থেকে বেরিয়ে আসার সময় জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, এই সরকার মনে করছে আমাকে জেলে রাখলে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে যাবে। তাই আমাকে জেলে রাখছে। প্রবল ধাক্কাধাক্কির মধ্যে কোনওক্রমে জিতেন্দ্রকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে পুলিস। তবে তাঁকে সিটে বসালেও বারবার তিনি নেমে গিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন। শেষপর্যন্ত তাঁকে গাড়িতে তোলা হয়।


জিতেন্দ্রকে কলকাতায় নিয়ে আসার খবর পেয়েই বিমানবন্দরে চলে আসেন তাঁর মেয়ে ও অন্যান্য় আত্মীয়রা। তাদের এড়িয়ে বিজেপি নেতাকে গাড়িতে তোলে পুলিস। তাঁকে নিয়ে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দিকে গাড়ি যশোর রোড ধরে পুলিস। শেষপর্যন্ত দমদম মিউনিশিপ্যাল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিড়ের চাপ সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাসপাতালের গেট। সম্ভবত আজ রাতেই তাঁকে নিয়ে আসানসোল রওনা দেবে পুলিস।


উল্লেখ্য, গতবছর ডিসেম্বর মাসে কম্বল বিতরণের সময়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট সূত্রের খবর, নয়ডায় যমনা এক্সপ্রেসওয়ের একটি জায়গা থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস ও গোয়েন্দা দফতর।


ওই ঘটনায় এবার সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করার জন্য বারবার এই কাজ করা হচ্ছে। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এর জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু যাদের প্রাণ যায় তাদের মধ্যে একটিমাত্র লোককে দিয়ে অভিযোগ করানো হয়। তার পরেই এই গ্রেফতার। যে মানুষটা দানের বস্ত্র নিতে এসেছিলেন তিনি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাচ্ছে। ফলে এর পেছনে তৃণমূল রয়েছে। কয়েকদিন আগে রাত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিড়িতে পুলিস গিয়েছিল। 


এদিকে, এনিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এনিয়ে বলেন, তিনি ও শুভেন্দু অধিকারী-সহ কয়েকজন নেতা কম্বল বিতরণের নামে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন কয়েকজন মারা যান ও কয়েকজন আহত হন। ওই ঘটনার পর অভিযুক্তরা এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান। এতে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি হওয়া উচিত।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)