ওয়েব ডেস্ক: মেডিক্যালে রাজ্যগুলির আলাদা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের আশা শেষ। দেশজুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমেই ডাক্তারির স্নাতকস্তরে ভর্তি নেওয়া হবে। জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পয়লা মে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্টের প্রথম পর্যায়ে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা চব্বিশে জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন। মেডিক্যাল ও ডেন্টালে ভর্তির জন্য রাজ্যগুলি আলাদা পরীক্ষা নিতে পারবে না। দেশজুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমেই ডাক্তারির স্নাতকস্তরে ভর্তি নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সতেরোই মে এ রাজ্যে মেডিক্যাল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের আশা শেষ হয়ে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে শীর্ষ আদালত আজ জানিয়েছে, ১লা মে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্টের প্রথম পর্যায়ে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁরা ২৪ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন সেক্ষেত্রে, ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। ভর্তির জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার নম্বরই গ্রাহ্য হবে। প্রয়োজনে ২৪ জুলাইয়ের ঘোষিত তারিখ বদল করার জন্য আবেদন জানাতে পারবে সিবিএসই ।যদিও, গত শুক্রবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা দিলে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় বসা যাবে না। শুক্রবার, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আদালতে জানিয়েছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষে রাজ্যগুলি আলাদা পরীক্ষা নিলে তাদের আপত্তি নেই। সোমবার কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমারও বিচারপতিদের কাছে একই কথা জানান। তবে, চূড়ান্ত রায়ে বিচারপতি এ আর দাভের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ২৮শে এপ্রিলের নির্দেশই বহাল রাখে।


সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে একটা মান বজায় রাখার চেষ্টা হচ্ছে। সে জন্য আলাদা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না রাজ্য সরকার ও বেসরকারি কলেজের অধিকারে হাত পড়ছে এই যুক্তিতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় বলা যাবে না।ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিয়মকানুন থাকায় রাজ্য আলাদা পরীক্ষা নিতে পারে না। দেশজুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকার ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না। সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এই পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিক্যালে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে হবে । শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে, ডাক্তারি পড়ছে ইচ্ছুক এ রাজ্যের পঁচাশি হাজার ছাত্রছাত্রীর কাছে এনইইটি-তে ভাল রেজাল্ট করা ছাড়া অন্য রাস্তা খোলা থাকল না।