নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। বরং বিজেপি কী করেছে, তার খতিয়ান দিতে হবে। কলকাতায় এসে সুইস হোটেলে দলের রাজ্য নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। একইসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন, যত বড়ই নেতা হোন না কেন, তৃণমূলস্তরে সংগঠন করতে হবে। কোনওরকম অজুহাত শোনা                   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য রেখেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন নাড্ডা। আবার হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন, আপনি যাচ্ছেন, বিজেপি আসছে। দেওয়াল লিখন স্পষ্ট। ২০২১ সালে বাংলায় আসতে হলে সংগঠনকে মজবুত করা দরকার। সংগঠন মজবুত না হলে বিধানসভায় শাসক দলের সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল তা ভালোমতোই বোঝেন জেপি নাড্ডা। একটা সময়ে বাংলায় সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি। তাঁর স্ত্রীও পশ্চিমবঙ্গের। ফলে বাংলার রাজনীতি হাতের তালুর মতো চেনেন।    



সেমিনারের পর সুইস হোটেলে বিজেপির রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেপি নাড্ডা। সেখানে শুরুতেই বিজেপির কার্যকরী সভাপতি বার্তা দেন, কোনও রাজনৈতিক কথা তিনি শুনতে চান না। মমতা কী করেছে? বিজেপি কর্মীদের মেরেছে? এসব ফিরিস্তি শুনবেন না। বিজেপির সংগঠন কত দূর এগিয়েছে, সেটাই তাঁর একমাত্র জানার বিষয়। অর্থাত্ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কাঁদুনি গাইলে চলবে না। 


কারও নাম না করে নাড্ডা নির্দেশ দেন, কলকাতায় বসে থেকে নেতাগিরি চলবে না। যত বড়ই নেতা হোন না কেন, ১০-১৫টি বুথে যেতে হবে। তৈরি করতে বুথভিত্তিক সংগঠন। এখানেই নয়, কীভাবে কাজ এগিয়েছে, তার রিপোর্টও নেবেন জেপি নাড্ডা। 


২০২১ সালে বিধানসভা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে  ১৮টি আসনপ্রাপ্তির পর রাজ্য নেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ঢিলেমি। একাংশ ভেবেই ফেলেছে, ক্ষমতায় আসা সময়ে অপেক্ষা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ দখল কতটা কঠিন, তা ভালোমতোই বোঝেন বাংলার জামাই। আর সে কারণেই নেতাদের টাস্ক দিয়ে গেলেন।    


আরও পড়ুন- চরমে বিতর্ক, বিজেপি নেতা নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সল্টলেকের পুজো উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ