JU Student Death: ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত অরিত্রর, রেজিস্টার বলছে অন্য কথা
JU Student Death: অরিত্রর দাবি, ট্রেকিংয়ে যাওয়ার জন্য গত ১০ আগস্ট তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন। রাজধানীর টিকিটও পোস্ট করেছেন তিনি। ট্রেকিংয়ে যিনি যাবেন তা তিনি আগেই তাঁর গাইডকে জানিয়েছিলেন
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর এবার ফেসবুক পোস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অরিত্র মজুমদারের। সেই পোস্টকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষণারত ছাত্র অরিত্রর নাম উঠে আসে অভিযুক্ত হিসেবে। ওই পোস্টে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে অরিত্র। তাঁর দাবি, গত ৯ আগস্ট ও তার বেশকিছুদিন আগে থেকে তিনি হস্টেলে যাননি। বরং ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের পরদিনই ইস্তফা যাদবপুরের ডিন অব সায়েন্সের
ফেসবুক পোস্টে অরিত্রর দাবি, ট্রেকিংয়ে যাওয়ার জন্য গত ১০ আগস্ট তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে ওঠেন। রাজধানীর টিকিটও পোস্ট করেছেন তিনি। ট্রেকিংয়ে যিনি যাবেন তা তিনি আগেই তাঁর গাইডকে জানিয়েছিলেন। অথচ তার পরেও তাঁকে পলাতক তকমা দেওয়া হচ্ছে।
অরিত্রর দাবি গত ১০ আগস্ট রাজধানী এক্সপ্রেসে তিনি ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। অথচ জি ২৪ ঘণ্টার তদন্তে উঠে এসেছে অন্যকিছু। ডিপার্টমেন্টের রেজিস্টারে অরিত্র-র সই রয়েছে ১১ আগস্ট। গত ৯ আগস্ট ওই ছাত্র বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান। পরদিন অর্থাত্ ১০ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। সেইদিনই অরিত্র দিল্লি চলে যান বলেই তাঁর দাবি। কিন্তু হস্টেলের রেজিস্টার বলছে অন্যকথা।
ফেটসুর চেয়ারম্যান ছিলেন অরিত্র। তবে ছাত্রমৃত্যুর পর যখন ফেটসুর ভূমিকা নিয়ে যখন প্রবল সমালোচনা হয় তখন ফেটসুর চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ায় অরিত্র। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আন্দোলনে দেখা গিয়েছিল অরিত্রকে। এমনকি মণীপুর নিয়ে আন্দোলনেও তাকে দেখা গিয়েছিল। এরপরই অরিত্র তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করে সে কাশ্মীরে ট্রেকিং করতে গিয়েছিল। সেই দাবির স্বপক্ষে সে ট্রেন ও বিমানের টিকিট পোস্ট করেছে। অথচ তার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রেজিস্টারে তার সই দেখা যাচ্ছে ১১ আগস্টে। ফলে অরিত্রর যে দাবি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, অরিত্রর যে ইউনিয়ন সেই ফেটসুর তরফ থেকে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কোনওভাবেই র্যাগিং বলা হচ্ছিল না। বরং বলা হচ্ছিল তদন্তে র্যাগিং প্রমাণ হলে শাস্তি হবে। অরিত্র যখন ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করে তখন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইউনিয়ন ঘটনাটিকে র্যাগিং বলে। পাশাপাশি র্যাগিংয়ে যারা জড়িত তাদের শাস্তির দাবি করে। ফলে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে অরিত্রর অবস্থান, ঘটনার সময়ে তার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক বহু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।