নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাঁসির আসামির মতো কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঘাযতীনে। মৃতার নাম সুকন্যা পোদ্দার। অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের ওই ছাত্রী বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষারত ছিলেন। চলতি বছরে তাঁর বিয়ের দিনও স্থির হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ওই মেধাবী ছাত্রী কেন আত্মহত্যা করলেন? পরিবার থেকে প্রতিবেশী, কেউ-ই ঠাওর করতে পারছেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাঘাযতীনের বাসিন্দা সুকন্যা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর হওয়ার পর বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশোনা করছিলেন। পাশাপাশি একটি কলেজে পার্ট-টাইম শিক্ষকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পাড়ায় ভালো মেয়ে হিসেবে পরিচিতি ছিল সুকন্যার। তবে খুব বেশি কারও সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না। সম্প্রতি তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এই বছরই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁর।


আরও পড়ুন, ভয়ঙ্কর ঘটনা কড়েয়ায়, ব্লেড নিয়ে হামলা, ধাওয়া করে গুলি যুবককে


পুলিস জানিয়েছে, সুকন্যার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেকক্ষণ ধরে বাড়ির লোক তাঁকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না মেলায়, সন্দেহ দানা বাঁধে তাঁদের মনে। তারপরই দরজা ভেঙে সুকন্যার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু যে অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তাতে হতবাক পুলিস। সুকন্যার মুখে জড়ানো ছিল কালো রঙের শাল। আয়নার সামনে থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহটি। কিন্তু কেন এইভাবে আত্মহত্যা করল মেধাবী সুকন্যা? সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আত্মহত্যা করেছে সুকন্যা নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্নও।


আরও পড়ুন, পাঁচিল টপকে ঢোকে ১১ জনের ডাকাতদল, দুঃসাহসিক ডাকাতি অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্মীর বাড়িতে


তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের বক্তব্য, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায়, এটা আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যদিও সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার জন্য কাউকে দায়ী করেননি সুকন্যা। সুইসাইড নোটে স্পষ্ট লেখা, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করলেন সুকন্যা? সেই কারণ খুঁজতে সুকন্যার মোবাইলের কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখছে পুলিস। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সুকন্যার ল্যাপটপটিও। তাঁর সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।