নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র ডাক্তার ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দড়ি টানাটানি অব্যাহত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি দাবি খণ্ডন করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এনআরএসে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে দেখাই করেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে দাবির কথা কীভাবে জানলেন? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআরএসে পরিবহ মুখোপাধ্যায়দের উপরে সাময়িক উত্তেজনার বশে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দাবি খণ্ডন করে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য দাবি করলেন, এটা সংগঠিত অপরাধ। পরিকল্পনা করে হামলা চালানো  হয়েছে। মোটেও তাত্ক্ষণিক হামলা নয়।



একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সব দাবি মানার ঘোষণায় জুনিয়র ডাক্তার অর্চিষ্মানের প্রতিক্রিয়া,''উনি বলেছেন, আমাদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়েছেন। আমাদের কোনও প্রতিনিধি যাননি। তাহলে আমাদের দাবি কী করে মেনে নিলেন। কীভাবে ওনার কাছে পৌঁছল? উনি বললেন, যে পরিবহ ভাল আছে। আমাদের যেটা প্রথম শর্ত ছিল, পরিবহকে মাননীয়া একবার দেখে আসুন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিবহ একটা জটিলতায় ভুগছে। তাঁর দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হচ্ছে। শর্ট টার্ম মেমারি লস হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল, সার্জেন হবে। ওঁর সার্জেন হওয়া হবে না। সম্ভবনাময় সার্জেনকে হয়তো হারালেন''।


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেনিয়েও প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তার অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়,  ''অ্যাকশন নেওয়া হয়ে থাকলে বর্ধমান, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, এনআরএসে হামলা হল কীভাবে? বর্ধমানে আমাদের এক ভাইয়ের চোখ নষ্ট হয়েছে। পাথর ছোড়া হয়েছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল আগুন ধরে গিয়েছে। এ এসব চলেছে। ডাক্তারদের ভবিষ্যত নষ্ট করা হল''।


বহিরাগতরা আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা খণ্ডন করে অর্চিষ্মান বলেন,''এটা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নয়, এটা সারা বিশ্বের মেডিক্যাল পরিবারের আন্দোলন। এখানে একজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে বহিরাগত তকমা দেওয়া দুঃখজনক। আমাদের আন্দোলনের কোনও মুখ বা নেতা নেই। এটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। তাদের বাদ দিয়ে বন্ধঘরে বৈঠকে যেতে পারব না। মাননীয়ার কাছে আহ্বান সাধারণ মানুষের কথা ভাবুন''।   


তিনি আরও বলেন, ''মাননীয়া বলেছেন, তিন হাজার পুলিসকে মোতায়েন করেছেন। আমরা একটা ছোট্ট পরিসংখ্যান দিতে চাই, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বড় হাসপাতাল পর্যন্ত সেখানে প্রায় ১৩ হাজারের পদ রয়েছে। ১৩ হাজার লোককে ৩ হাজার পুলিসের নিরাপত্তা!'' 


কেশরীনাথ ত্রিপাঠী পরামর্শ স্মরণ করিয়ে অর্চিষ্মান বলেন, ''রাজ্যপালের তরফ থেকে বিবৃতি, পরিষ্কারভাবে বলছেন, কোনও কথা হয়নি। অবিলম্বে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে হবে''। 


আরও পড়ুন- SSKM-এ আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, এজিনিস অন্য কোথাও হলে অনেক অ্যাকশন হত: মমতা