Justice Abhijit Ganguly: `আপনি ভালো করছেন`, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে বলেন মুখ্যমন্ত্রী!
আমি না কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে মাতামাতি করি। আমি দুর্নীতি পেলে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করি।` সাফ কথা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। অভিযোগ করলেন, তাঁর এজলাসে ঘরের পিছন দিকে কেউ পেপারওয়েট নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এদিন তিনি বলেন, 'আড়াই বছরে ৯৫টি রায় দিয়েছি। তার মধ্যে দেড় বছর কোর্ট বন্ধ ছিল। অনেক ঘরে অর্ডার পেন্ডিং থাকে। খোঁজ নিন। ওইদিন সেদিন ভিড়ের পিছন দিকে পেপারওয়েট নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই কারণে আমি সেদিন ভিডিও করতে বলেছি। ওদিকে জ্যাঠামশাই এসে বলে গেলেন, আর সেটাই শেষ কথা হয়ে গেল!'
সাফ বলেন, 'মামলা কোনটা আগে শুনব না পরে শুনব, সেটা বাছাইয়ের এক্তিয়ার আমার আছে। আর সেটা আমি করতে পারি।' তোপ দাগেন যে তাঁকে বলা হয়, 'আমি না কি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে মাতামাতি করি।' তাঁর স্পষ্ট কথা, 'আমি দুর্নীতি পেলে সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করি।' পাশাপাশি, এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় আরও বলেন, 'নিউ সেক্রেটারিয়েটের অনুষ্ঠানের দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সামনাসামনি হয়েছিলাম। আরও বিচারপতিরাও ছিলেন। সামনে আসাতে আমি হাত জোড় করে বললাম, আমি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। উনি বললেন, ও! আপনিই অনেক অনেক কিছু করছেন। আপনি আপনার মত কাজ করুন। আমি বলি, আমি যদি কিছু কথা বলতে পারতাম। উনি বললেন, এখন তো সুযোগ নেই। আপনি ভালো করছেন, আপনি আপনার মতো চালিয়ে যান। এরপরেও দালালরা সব বকে যাচ্ছে। ব্রিফ লেস সব। একটা মামলা নিয়ে আসতে বলুন।'
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: '৪-৫ দিনের মধ্যে কিছু একটা ঘটবে!' কয়লা পাচার মামলায় অভিষেককে তলব ইডির
প্রসঙ্গত, এর আগে একদিন এক উড়ো ব্যানার ঘিরে গুঞ্জন ছড়ায় হাইকোর্ট পাড়ায়। যে ব্যানারে লেখা ছিল, 'জ্যাঠামশাইয়ের মাথায় অক্সিজেন কম ঢুকছে। সেই জন্য উনি ভুল বকছেন। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।' ওদিকে সেদিনই এজলাসে বসেই অরুণাভ ঘোষের সমালোচনায় সরব হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, 'আমায় বলা হচ্ছে আমি আইন জানি না! ১৭(সি) ও ১৬৫ আইনের ধারা নিয়ে এখনও অনেকেই জানেন না। এই আইন দুটি আমি বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি। কিন্তু আমায় কেউ দেখাতে পারেননি ওই দুটি আইন আমি ভুলভাবে ব্যবহার করেছি।'
আরও বলেন, 'ন্যাচারাল জাস্টিস নিয়ে সবাই চিৎকার করে, কিন্তু ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রকৃত বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানে না। যে বলছে আমার কোনও জাজমেন্ট নেই, সে নিজে আমার জাজমেন্ট দেখিয়ে নির্দেশ নিয়ে গেছে। অস্বায়ী চাকরির মামলায় অর্ডার নিয়ে গেছে। আর বাইরে জেনে-বুঝে মিথ্যা বলছে। কোর্টে এসে বলছে আমার জাজমেন্ট নেই।' তিনি সেদিনই স্পষ্ট করে দেন, 'আমার সঙ্গে অরুণাভ ঘোষের শত্রুতা নেই। আমি ওনার সাথে এজলাসে মতানৈক্য মিটিয়ে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু জানি না কেন, উনি বাইরে তারপরেও আমার সম্পর্কে বলে বেড়াচ্ছেন। আমি বিষয়টা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি।'