অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'এনাফ ইজ এনাফ'। হাইকোর্টে সংঘাতের পর এবার উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলা সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সৌমেন সেন। বললেন, 'এই আদালত অপমানিত হয়েছে, প্রেসকে বলার অধিকার সবার আছে। কিন্তু বিচারপতির শুধু অর্ডার দেওয়ার অধিকার আছে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Justice Abhijit Gangopadhyay: সংঘাতের জের, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরল শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা!


ঘটনাটি ঠিক কী? তখন উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছে। এদিন বিচারপতি সেনের বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তোলেন মামলাকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘আমি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কিছু বলতে চাই'। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন বিচারপতি সেন।



আরও পড়ুন:  Calcutta High Court: 'আইনের মন্দিরে এটা মানা যায় না', বিচারপতিদের লড়াইয়ে 'লজ্জিত' প্রধান বিচারপতি!


বিচারপতি সেন বলেন, 'আমাদের কোনও মামলাতেই কোনও অ্য়াটাচমেন্ট নেই।  বিষয়টি নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। তাই দয়া করে ওই বিষয়ে কিছু বলবেন না'। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘ওই বিচারপতির প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে।  অনেকে আসবেন, অনেকে যাবেন। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান রয়ে যাবে'। 


মেডিক্যালে কলেজ ভর্তি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। সিবিআইকে FIR তরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  কিন্তু  সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।


এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরেও অনড় থাকেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে,  ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অবৈধ।  সিবিআই-কে FIR দায়ের করার যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেই নির্দেশ খারিজ হবে না। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকী, সিবিআইকে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, নির্দেশনামায় অভিযোগ তোলেন বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে!


তারপর? হাইকোর্টে দুই বিচারপতি সংঘাতে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি  ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানির পর, মামলাটি হাইকোর্টে থেকে সরানোর নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এবার মামলাটির শুনানি হবে।


এদিন দুই বিচারপতি সংঘাতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'দেশের ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট হল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি জন মানসে প্রভাব ফেলবে। আইনের এই মন্দিরে এটা মানা যায় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্যে লজ্জিত এবং দুঃখিত'। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)