অর্ণবাংশু নিয়োগী: বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিল মামলায় এবার ক্যাভিয়েট দাখিল করা হল সু্প্রিম কোর্টে। কেন? একতরফা নির্দেশ আটকাতে। 'বাগদার রঞ্জনকে গ্রেফতার করে আর কী হবে'?, প্রশ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে যে বেনিয়ম হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার নিয়েছে এসএসসি। এরপর স্রেফ ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিল নয়, ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে বেতন ফেরতের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাল্টা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন চাকরিহারারা। মামলাকারীদের প্রশ্ন, 'বিদ্যালয়ে শ্রম দিয়েছেন। তাহলে এখন কেন বেতন ফেরত দেবেন'? বস্তুত, বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশও জারি করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।


তাহলে? এসএসসি-র গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিলের নির্দেশ কিন্তু বহাল রেখেছে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে রায় যদি বিপক্ষে যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের যেতে পারেন মামলাকারীরা। সেকারণেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিভেট দাখিল করলেন মূল মামলাকারী লক্ষ্মী টুংগা। ৩ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।


আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাগদার 'রঞ্জন'কে গ্রেফতার করল সিবিআই


এদিকে  গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা অবশেষে গ্রেফতার করা হল  বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে। ধৃতকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আক্ষেপের সুরে বলেন, 'বাগদার রঞ্জনকে গ্রেফতার করে আর কী হবে? কিছুই হবে না। ৭-৮ মাস ধরেই অনেক কিছু চলছে। সৎ রঞ্জনকে ডাকাও হয়েছে। এখন গ্রেফতার করেছে, কিছুই হবে না'।



২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এক সাক্ষী ইডি-র কাছে বয়ান দিয়েছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী বর্তমানে রাঘবপুর, নদিয়া একটি বেসিক প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। চন্দন মন্ডল নামে এজেন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন ৭.৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। এমনকী, চন্দনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসও।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)