কমলাক্ষ ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যাঙ্কের লকার থেকে উধাও গয়না। গত কয়েক মাসে ক্ষতিগ্রস্ত তিন জন গ্রাহক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।


পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কেষ্টপুর শাখার লকারে গয়না রেখেছিলেন। কিন্তু সেই গয়না তুলতে গিয়ে চোখ কপালে কুহেলি দত্তর। উধাও গয়না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু তেমন কোনও সাড়া পাননি বলেই অভিযোগ। এরপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর। শুধু তিনিই নন, নিউটাউনের মালতী রায়ের গয়না ছিল কেষ্টপুর এসবিআই-এর লকারে। বড়বাজারের মঞ্জু আগরওয়ালের অবস্থা একই। ইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ব্রেবোর্ন রোড শাখার লকারে গয়না রেখেছিলেন। কিন্তু সেইসব গয়নার-ই আর কোনও হদিশ নেই।


আরও পড়ুন, লড়াই করে সৌম্যজিত্-কে পেয়েছি: তুলিকা


লকার থেকে গয়না উধাওয়ের পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা মাস। কারও ৯ লাখ টাকার গয়না কারও আবার খোওয়া গিয়েছে ২৫ লাখ টাকার গয়না। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া সেই গয়না খুঁজে বের করার ব্যাপারে কার্যত কোনও উদ্যোগই নিচ্ছেন না ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। অভিযোগ তেমনই। সারা জীবন কষ্টার্জিত আয়ের থেকে সঞ্চয় করে গয়না বানানো। যা ভবিষ্যতের সুরক্ষা সম্পদও বটে।  কিন্তু সেই গয়নার ন্যূনতম সুরক্ষা কোথায়? প্রশ্ন তুলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এই ঘটনায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা ।  


আরও পড়ুন, ভবিষ্যত্ সুরক্ষিত করতে LIC-তে ভরসা রাখলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও


ব্যাঙ্কের সঙ্গে গ্রাহকের চুক্তি অনুযায়ী লেখা থাকে লকারে রাখা জিনিস খোওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়িত্ব গ্রাহকের। তাহলে তদন্তে কীভাবে পুলিস বা ব্যাঙ্ক প্রমাণ করবে চুরিটা করল কে? সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। দেশে বিভিন্ন লকার চুরির ঘটনায় দেখা গিয়েছে এই ধরনের চক্র নিজেরাই ব্যাঙ্কে একটি লকার ভাড়া নেয়। তারপর লকারে ঢুকে অন্যের লকার ভেঙে চুরি করে। নকল চাবিও ব্যবহার করা হতে পারে।