বিক্রম দাস: রেশন কাণ্ডে আরও জোরালো বালু-বাকিবুর যোগ। ইডির নজরে এবার বেশ কিছু বড় বড় চালকল, গমকল মালিক। ইডি সূত্রে খবর, রেশনের গম, চাল খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতেন এই সব চালকল, গমকল মালিকরা। তারপর সেই টাকা সরাসরি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে পাঠাতেন তাঁরা। ওদিকে ছোট থেকে মাঝারি ব্য়বসায়ীদের টাকার লেনদেন দেখাশোনা করতেন বাকিবুর। তল্লাশিতে সেই ক্লু মিলতেই অভিযুক্তদের নামের তালিকা তৈরিতে জোর ইডির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর শুরু হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ১০ দিনের ইডি হেফাজত। গতকাল থেকেই রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রীকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারী অফিসারা। গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। অমিত দে ও অভিজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুজনকেই আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও একা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। কালকের পর আজ ফের তলব করা হয়েছে অমিত দে ও অভিজিৎ দাসকে। ওদিকে কাল রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ ফের মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিন মন্ত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষাও হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। 


MIC কে? চালকলে কেন সরকারি স্ট্যাম্প? বাকিবুরের সঙ্গে কী লেনদেন? রাতারাতি সম্পত্তি বৃদ্ধির রহস্য কী? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আজও চলবে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ। মেরুন ডায়েরি নিয়েও জ্যোতিপ্রিয়কে প্রশ্ন করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মেলেনি মন্ত্রীর কাছ থেকে। তাই আজ ফের দুর্নীতিকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির বয়ান সামনে রেখে জেরা করা হবে। উল্লেখ্য, মন্ত্রীর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যক্তি। ইডির নজরে সেই চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বক্তব্যও!


প্রসঙ্গত, গতকালই রেশন দুর্নীতির তদন্তে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে! একটা মিলেই গোটা জেলার সরকারি 'সদর' দফতর! দেগঙ্গার মিল থেকে উদ্ধার হয় ১০৯টি স্ট্যাম্প। যার মধ্যে রয়েছে গোটা জেলার একাধিক সরকারি বিভাগের স্ট্যাম্প। মিলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেনশিয়াল কমোডিটিস সাপ্লাই করপোরেশন লিমিটেড, চিফ ইন্সপেক্টর, ডিসি (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই) উত্তর ২৪ পরগনা, ব্লক এক্সটেনশন অফিসার অ্যান্ড ইনসপেকটর অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পারচেজ অফিসার উত্তর ২৪ পরগনা, ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, সাব ইনসপেকটর (ফুড অ্যান্ড সাপ্লাই)-এর সরকারি স্ট্যাম্প!


পাশাপাশি জানা যায়, মিলেই ভাগ হত রেশন। তদন্তকারী সংস্থার প্রাথমিক অনুমান, ২০/৪০ : ৬০/৮০ শতাংশ রেশিওতে মিলেই রেশন ভাগ করা হত। সেখান থেকে রেশন পাঠানো হত ডিস্ট্রিবিউটারের কাছে। পাঠানোর আগে অফিশিয়াল কাগজপত্রে স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হত। আর সেই কারণেই দেগঙ্গার ওই মিলে সমস্তরকম সরকারি স্ট্যাম্প জোগাড় করে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। 


আরও পড়ুন, Vidyasagar Setu: ৮ মাস 'বন্ধ' বিদ্যাসাগর সেতু! বিকল্প রুট জেনে নিন



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)