ওয়েব ডেস্ক: ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে শিরায় এয়ার বাবল। রীতিমতো হলিউড মুভির কায়দায় খুন করা হয়েছে জ্যোতিষি জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিক তদন্তের পর তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও একজনের খোঁজে তল্লাসি চলছে। জেরায় জয়ন্তকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা।বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক। আর তার জেরে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা। ফাঁকা সিরিঞ্জ দিয়ে শিরায় এয়ার বাবল ঢুকিয়ে দেওয়া। রীতিমতো ফিল্মি খুন করা হয়েছে জ্যোতিষি জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে। তদন্তের পর নিশ্চিত পুলিস।পুরোটাই বিবাহ বর্হিভূত জের। সূত্রপাত জয়ন্তবাবুর সহকারী মিতা আচার্যকে ঘিরে।সমর আচার্যের স্ত্রী মিতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জয়ন্ত ভট্টাচার্যের।আটমাস আগে স্বামীকে ছেড়ে জয়ন্তর সঙ্গে থাকছিলেন মিতা।বনিবনা না হলেও স্ত্রীর বাড়ি ছাড়া মানতে পারেননি সমর।জয়ন্ত ভট্টাচার্যকে খুনের ছক কষতে শুরু করে সমর।সঙ্গী হিসাবে নেয় নতুন ভাড়াটে লাল্টু ও তার স্ত্রী রিয়াকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন সিঁথি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রৌঢ়ের মৃত্যু


কিন্তু, কীভাবে খুন করা হবে? হলিউড মুভি ভার্টিকাল লিমিট দেখে আইডিয়া আসে সমরের মাথায়। পরিকল্পনা মাফিক, ১৬ ফেব্রুয়ারি জয়ন্তকে ভাড়া বাড়িতে ডেকে পাঠায় রিয়া।কিন্তু সেবার কাজ হয়নি। পরেরদিন একটি গাড়িতে জয়ন্তকে তুলে নেয় সমর-লাল্টু-রিয়া।গাড়ির মধ্যে হাত মুখ বেঁধে ফাঁকা সিরিঞ্জ ইঞ্জেক্ট করা হয় জয়ন্তর শরীরে। তিনি অচৈতন্য পড়তেই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় দেহ।মিতাকে জেরা করে সমরের নাম জানতে পরে পুলিস। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে লাল্টু নন্দী-রিয়া নন্দী ও সোমনাথ পালের নাম। পুলিসের দাবি, এই ষড়যন্ত্রে যোগ ছিল আরও একজনের।পলাতক ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করাই এখন পুলিসের কাছে চ্যালেঞ্জ।


আরও পড়ুন  SSKM-এ মৃত্যু হল অ্যাসিড আক্রান্ত বছর ৩০-এর তরুণীর