ওয়েব ডেস্ক: উদ্দাম জীবন। কলকাতার বিভিন্ন নাইটক্লাবের পরিচিত মুখ। দামি জামা-জুতো, মহার্ঘ্য মোবাইল ফোন ছাড়া সে ব্যবহার করত না। সেই কাদের খানই পুরো নিজেকে বদলে দিয়েছিল কাদের। চুলের ছাঁট থেকে জীবন যাপন। লুকিয়ে থাকার দিনগুলি পুরো অন্য লোক হয়ে ওঠেছিল কাদের। সাড়ে চার বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো মোটেই সহজ ছিল না। পুলিসের চোখে ধুলো দেওয়ার কোনও কসুরই বাকি রাখেনি কাদের খান। চুলের ছাঁট থেকে চাপ দাড়ি পুরো বদলে ফেলে নিজেকে....।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিসের জেরায়


২০১২-র ফেব্রুয়ারির আগে কাদেরের জীবন ছিল উদ্দাম... নাচ গান, ডিস্কো, হইহুল্লোড়ে ভরপুর , দিনে জিম বিকেলে পার্ক স্ট্রিট এটাই ছিল তার কাজ পার্কস্ট্রিট এলাকার একাধিক নাইট ক্লাবে রীতিমতো রাজত্ব চালাত কাদের ও তাঁর দল। ধনীদের বেছে বন্ধুত্ব করত, ধনী যুবকদের সঙ্গে তরুণীদের পরিচয় করিয়ে দিত।ধনী যুবকদের টাকাতেই ফুর্তি করত কাদের ও তাঁর দল। বিভিন্ন নাইট ক্লাবে তাঁর একাধিক গ্যাং ছিল।নাইট ক্লাবে গোলমাল হলে রিপন স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট এলাকা থেকে দলবল নিয়ে হাজির হত কাদের। তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ ছিল।পার্কস্ট্রিক থানার একাধিক অফিসারের সঙ্গে কাদেরের যোগাযোগ ছিল।নাইটক্লাব সংক্রান্ত কোনও ঝামেলা হলে পুলিস তার সাহায্যও নিত। ধর্ষণের ঘটনার পরেও পুলিস কাদের আর নাসিরের থেকে খবর নেয়। ভুল খবর দিয়ে তদন্তকে অন্য পথে চালনা করে তারা। তবে কলকাতা ছেড়ে পালানোর পর নিজেকে পুরো বদলে দেয় কাদের...। নিত্যনতুন দামী মোবাইল ব্যবহার করা যার শখ ছিল এই সময়টা সে কোনও ফোন ব্যবহার করত না। ডেরা থেকে খুব একটা বাইরে আসত না। শুধু একবার রাঁচিতে এক ভাইয়ের বিয়েতে যায় কাদের। দামি গাড়িতে যাতাযাত করত সেই কাদের এই সময় ট্রেনে বিনা রিজার্ভেশনে যাতায়াত করত।শুধু বদলতাতে পারেনি তাঁর জিম করার অভ্যাসটা। নয়ডাতেও সে জিম করত বলেই খবর পুলিস সূত্রে....তবে এসবের মাঝেই অভনেত্রী বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগটা আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে ...।একসময় যে কলকাতার নাইট লাইফের রাজা ছিল এখন তাঁরই দিন কাটছে কয়েদে।


আরও পড়ুন  "ধর্ষণ করিইনি", পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি কাদেরের