নিজস্ব প্রতিবেদন : বুথ দখল করে উপনির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল। তবে একুশের বিধানসভা ভোটের ফলে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাবে। রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়কে এভাবেই বিঁধলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু হতেই দেখা যায়, কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর, খড়গপুর সর্বত্রই বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সময় যত গড়ায়, ততই ব্যবধান স্পষ্ট হয়। করিমপুরের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুরও জিতে নেয় তৃণমূল। এই প্রথম কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর আসন দুটি তৃণমূলের ঝুলিতে এল। তবে উপনির্বাচনের এই ফলাফলকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, "আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম সব বুথে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়োগ করতে। কিন্তু তা হয়নি। তার ফল যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করে নির্বাচন করিয়েছে। তাই ওরা জিতেছে। এই ফলাফলের প্রভাব ২০২১-এ পড়বে না। কারণ তার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা মানুষের কাছে খুলে যাবে।"


আরও পড়ুন, বাড়ি ঢুকে বুকে গুলি করে প্রাক্তন স্ত্রীকে খুন, শুভলগ্না হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সুলতান আলির


প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের ফলাফলে কার্যত ভরাডুবির পরই পিকে-র 'শরণাপন্ন' হয় তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে রণনীতি নির্ধারণের জন্য ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে শাসকদল। এরপরই নিজের টিম নিয়ে জেলায় জেলায় কাজ শুরু করেন পিকে। শুরু হয় দিদিকে বলো কর্মসূচি। হারানো জমি ফিরে পেতে জোর দেওয়া হয় জনসংযোগে। বিধায়কদের কোথায় কখন প্রয়োজন, সেইমতো গাইড করতে থাকে পিকে-র টিম। উপনির্বাচন উপলক্ষে ৩ কেন্দ্রে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকে কাজ করতে থাকে তারা। কালিয়াগঞ্জে ৫ জনের, করিমপুরে ৪ জনের ও খড়গ্পুরে ৭ জনের দল গত একমাস ধরে লাগাতার চষে ফেলে এলাকা। সাধারণ মানুষের সুযোগ-সুবিধা, অভাব-অভিযোগ সবকিছু নথিভুক্ত করা হয়। নিঁখুত হোমওয়ার্ক করে একেবারে অল আউ অ্যাটাকে নামে পিকে-তৃণমূল টিম। সেই টিমেরই আজ ছিল প্রথম পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় ফুল মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ পিকে টিম।