`CBI কারও চাপে এই কাজ করেছে`, নারদাকাণ্ডে বিস্ফোরক Kalyan
ফে্র প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপালের এক্রিয়ার নিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদাকাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়ে দিনভর টানটান নাটক। শেষপর্যন্ত সিবিআই-র বিশেষ আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন সুব্রত, ফিরহাদ, মদন, শোভন। তাহলে কি চাপে পড়েই এই গ্রেফতারি? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবার প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়েও।
কোভিড পরিস্থিতিতে এদিন নারদাকাণ্ডের ভার্চুয়াল শুনানি চলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। প্রভাবশালী তত্ত্বে, প্রমাণের লোপাটের যুক্তিতে ধৃত ৪ নেতার জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-র আইনজীবী। কিন্তু পাল্টা সওয়ালে বাজিমাত করলেন তৃণমূলের আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ব্যক্তিগত ৫০ হাজার টাকা বন্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জমিন পেলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি রাখলেন Mamata, ৫০ বছর পর রাজ্যে ফিরছে বিধান পরিষদ
আদালত ধৃতদের জামিন দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, 'যতবার ডেকেছে, ততবার গিয়েছে। আচমকা ভোরবেলা গিয়ে অ্যারেস্ট করা হচ্ছে, সিবিআই কারও চাপে একাজ করেছে'। রাজ্যপাল কীভাবে এই চার্জশিট পেশে সম্মতি দিলেন? ফের একবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন কল্যাণ। তাঁর কথায়, 'সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ ছাড়া রাজ্যপাল নিজে কোনও কাজ করতে পারেন না। জানুয়ারি মাসে অনুমোদন চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল সিবিআই। ৩ তারিখ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন পদত্যাগ করে, ৫ মে আবার শপথ নেন তিনি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী প্রোটেম স্পিকার থাকা সত্ত্বেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও কিছু না জানিয়েই ৯ তারিখ চার্জশিটে সম্মতি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। এই চিঠি সংবিধানের বাইরে'।
আরও পড়ুন: চার্জশিট পেশের অনুমোদন দিয়ে ঠিকই করেছেন রাজ্যপাল: বিকাশ ভট্টাচার্য
তখনও সিবিআই আদালতে নারদা মামলার শুনানি শুরু হয়নি। ফিরহাদদের গ্রেফতারির পিছনের সরাসরি রাজ্যপালের কারসাজির অভিযোগ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কুকুরের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন তিনি।