নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রসঙ্গ বিধাননগর পুরনিগমের অনাস্থা মামলা। হাইকোর্টে সওয়াল-জবাবের মধ্যেই উঠল বনগাঁ-প্রসঙ্গ। বনগাঁর আস্থাভোটে শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারব্যবস্থাকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে বসলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাইকোর্টের দোতলায় ১১ নম্বর কোর্টরুম। এজলাসে উপস্থিত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। বিধাননগর পুরনিগমের অনাস্থা ভোট নিয়ে চলছে জোর সওয়াল-জবাব। কথা প্রসঙ্গে সেখানেই উঠল মঙ্গলবারের বনগাঁ-কাণ্ড। কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারপতির সামনেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তা কার্যত পর্যবসিত হল ব্যক্তি আক্রমণে। বিচারপতির উদ্দেশে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আপনি আইনের এ-বি-সি-ডি জানেন না'। পরে অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেন কল্যাণ।       



বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, বনগাঁ পুরসভার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুগামীরাই দায়ী। পুলিস সব ঘটনা দেখেও কিছু করেনি। শাসকদলের প্রশ্রয়েই এতবড় কাণ্ড। বিচারপতির এহেন মন্তব্যেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কল্যাণ। মন্তব্য করেন, শুধু বনগাঁ কেন, বলতে হলে সব বলতে হবে। বারের নির্বাচনে ২০ লক্ষ খরচ করেছে বিজেপি। বিচারপতি নিয়োগ কীকরে হয় তাও জানি। বিচারপতিরাও সমঝোতা করেন। অনেক বিচারপতি সল্টলেকে জমি পেয়েছেন।


এরপরই এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান কল্যাণ। সওয়াল-জবাব যখন প্রায় শেষের পথে, তখনই কল্যাণের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। বলেন,'আজীবন সততার সঙ্গে কাজ করেছি। আমার নিয়োগ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না। ১০ বছর কাজ করেই অনেকে হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। কার সম্পত্তি কীভাবে বাড়ছে সব আমরা জানি। কেউ দিতে ভালবাসেন, কেউ নিতে ভালবাসেন। এই দেওয়া-নেওয়া থেকেই কাটমানি কনসেপ্ট'।
 
এরপর বিচারপতিও এজলাস ছেড়ে নিজের চেম্বারে উঠে যান। সেখানে গিয়েই দুঃখপ্রকাশ করে আসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টে এহেন ঘটনার নজির মনেই করতে পারছেন না বর্ষীয়ান আইনজীবীরা। 


আরও পড়ুন- বন্দুক হাতে নাচার ফল, মোদীর নির্দেশ মেনে বিধায়ককে দল থেকে তাড়াল বিজেপি