ওয়েব ডেস্ক: কামদুনি মামলার রায় হতে সময় লেগে গেল দুবছর আট মাস।  অথচ  দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলা, উবের ক্যাবে মহিলাকে ধর্ষণ , মুম্বইয়ে শক্তি মিলে মহিলাকে ধর্ষণ, তিনটি  মামলাতেই  রায় ঘোষণা হয়েছে এক বছরেরও কম সময়ে। আর এ রাজ্যে মালদার বামনগোলায় নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণা হয় মাত্র বাইশ দিনে। একমাসের মধ্যে দোষীদের শাস্তি হবে । কামদুনিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও বিচারের বাণী ঘোষণা হতে লেগে গেল প্রায় দুবছর আট মাস। দেশ জুড়ে আলোড়ন তোলা বেশকয়েকটি গণধর্ষণ মামলার রায় হয়েছে কয়েকমাসের মধ্যেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দু হাজার বারোর ষোলোই ডিসেম্বর। দিল্লিতে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের পর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বাস থেকে। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে গোটা দেশ। জনরোষের চাপে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে বদল আনে সরকার।আলোড়ন ফেলে দেওয়া ধর্ষণকাণ্ডের রায় ঘোষণা হয়েছিল দুহাজার তেরোর দশই সেপ্টেম্বর। অর্থাত্ ঘটনার ন-মাসের মধ্যে।
দুহাজার চোদ্দর পাঁচই ডিসেম্বর উবের ক্যাবে  মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণ করে চালক শিবকুমার যাদব।  দু হাজার পনেরোর চৌঠা নভেম্বর সেই মামলার রায় দেয় আদালত।  ঘটনার ১১ মাসের মধ্যে। তবে, দ্রুত রায় দানের নজির গড়েছে মুম্বই।দুহাজার তেরো সালের বাইশে অগাস্ট শক্তি মিল চত্বরে ধর্ষণের শিকার হন বছরের বাইশের এক চিত্র সাংবাদিক । মুম্বই নগর দায়রা আদালত পরের বছর ২০ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাজা শোনায়। ৩জনের ফাঁসির সাজার নির্দেশ দেয় আদালত ।


তবে, কামদুনিতে না হলেও, মালদা বামনগোলায় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় ২২দিনে রায় দেয় মালদা আদালত।  দোষী সাব্যস্ত হয় ছেলে ও বাবা।