নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশ বছর পরও কণাদের স্মৃতির এক কণাও ফিকে হয়নি টালা পার্কের বাসিন্দাদের কাছে। পাড়ায় দস্যি ছেলে হিসাবে পরিচিত কণাদ এখনও যেন দাপিয়ে বেড়ায় এ গলি- ও গলি। ভর দুপুরে ওই ঘিঞ্জি গলিতে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কত বাড়ির যে কাচ তিনি ভেঙেছিলেন, ইয়ত্তা নেই। এখনও ঢুঁ মারলে হয়ত দেখা যাবে কিছু বাড়ির ভাঙা জানালার কাচ কণাদের সেই স্মৃতি আঁকরে ধরে রেখেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন ধরে রেখেছেন কল্যাণ চৌধুরীও। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যের বাড়ি কিনে সযত্নে তাঁর স্মৃতি বপন করে চলেছেন সেই ২০১৩ থেকে। কণাদের মৃত্যুর পর এই বাড়ি বিক্রি করে দিল্লিতে মেয়ের কাছে চলে যান তাঁর মা-বাবা। বাড়িটি কেনেন পেশায় ব্যবসায়ী টালা পার্কের কল্যাণ বাবু। কণাদ থাকাকালীন বাড়িটি যেমন ছিল, আজও তেমনই আছে। কণাদের শোওয়ার ঘরটি আলাদা করে রেখে দেওয়া হয়েছে তাঁর জন্যই। দেওয়ালে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, ক্ষুদিরাম, সূর্য সেনের মতো মনীষীর মাঝে রয়েছে কণাদের ছবি। বাইরে তাঁর ব্রোঞ্চের আবক্ষ মূর্তি। কল্যাণ বাবু বলছেন, “কণাদের স্মৃতি রক্ষার জন্যই এই বাড়ি কিনি। আমি গর্বিত যে এই বাড়িতে থাকতে পেরে। কণাদ নিজের জীবন-রক্ত দিয়ে দেশকে রক্ষা করেছে।”



১৯৯৯ সালে ২১ মে। অশান্ত কার্গিল। প্রায় দেড়শো কিলোমিটার জুড়ে তোলেলিং পাহাড়ের মতো ৪০০ টি চূড়া দখল করেছিল পাকিস্তান। মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করে সেনা। দু’মাসের কার্গিল যুদ্ধে ৫৫৯ জন সেনা কর্মী শহিদ হন। আর সেই পাহাড়ের চূড়া দখল নিতে রক্ত দিতে হয় ২৬ জন অফিসার ও জওয়ানকে। তেমনই টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের জন্য আট শিখ রেজিমেন্টের অফিসার লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যও শহিদ হন। প্রায় দু়’মাস পর উদ্ধার হয় তাঁর বরফে ঢাকা দেহ। পরবর্তীকালে মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। আজ, এই কার্গিল বিজয় দিবসের দিনে কণাদকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছেন টালা পার্কের বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন: বাসভাড়া ২ লাখ, একাধিক রাজ্য পেরিয়ে শেষপর্যন্ত বাগুইআটিতে আটকে গোয়া ফেরত রাজ্যের ২৯ পরিযায়ী শ্রমিক