নিজস্ব প্রতিবেদন: কসবায় মহিলা সরকারি আধিকারিক খুনে গ্রেফতার পরিচারক শম্ভু কয়াল। রবিবার তদন্তের জাল গুটিয়ে এমনটাই দাবি করলেন কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) প্রবীণ ত্রিপাঠি। পুলিসের দাবি, ধারের টাকা ফেরত না-পাওয়াতেই রাগের বশে শীলা চৌধুরীকে খুন করেছেন শম্ভু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার কসবার অভিজাত টেগোর পার্ক এলাকা থেকে উদ্ধার হয় কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক শীলা চৌধুরীর দেহ। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনের রহস্যভেদের দাবি করল পুলিস। কলকাতা পুলিসের দাবি, ধারের টাকা ফেরত না-পেয়ে শীলাদেবীকে খুন করেছে তার পরিচারক শম্ভু। জেরায় শম্ভু জানিয়েছেন, মাঝে মাঝেই তার কাছ থেকে মোটা টাকা ধার নিতেন শীলা চৌধুরী। শেষ দফায় ২৭,০০০ টাকা ধার নেন তিনি। শনিবার টাকা ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন শীলা চৌধুরী। এর পরই তাঁকে খুন করেন শম্ভু।


আরও পড়ুন- কসবায় মহিলা খুনে ময়দানে ফরেন্সিক দল, উঠে এল একাধিক নতুন তথ্য


খুনের পর দুর্ঘটনার তত্ত্ব খাড়া করতে রান্না ঘরের গ্যাস লিক করানোর পরিকল্পনা করে শম্ভু। যদিও সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। খুনের পর আলমারি খুলে সংসার খরচের জন্য রাখা ৭,০০০ টাকা নিয়ে পালায় সে। পুলিস সূত্রে খবর, মামার থেকে টাকা ধার নিয়ে শীলাদেবীকে দিয়েছিলেন শম্ভু। তদন্তে পুলিসকে শম্ভু জানিয়েছে, দেওয়ালে মাথা ঠুকে সজোরে আঘাত শীলাদেবীকে। এরপর মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন শম্ভু। 


আরও পড়ুন- রান্নাঘরে পড়ে দেহ, বন্ধ ফ্ল্যাটে 'ফিল্মি কায়দায়' খুন সরকারি মহিলা অফিসার 


শম্ভুর দাবি, শীলাদেবীকে যে তিনি টাকা ধার দিতেন তা জানত না তার পরিবারের লোকজন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিক কেন পরিচারকের কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, নিতান্ত ধারের টাকা নিয়ে বিবাদ, না কি কোনও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ার। শীলাকে খুনের পর শম্ভু তাকে দুর্ঘটনার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও দাবি করেছে পুলিস। রহস্যভেদ করতে শম্ভুকে জেরা চালাচ্ছে পুলিস।