নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়ে ও জামাই তাঁর কাছেই থাকতেন। জামাইকে নিজের ছেলের মতো ভালবাসতেন। জামাইও তাঁকে বাবা বলে ডাকতেন। সেই কারণেই কি খুন হতে হল কসবার পূর্বাচলের বাসিন্দা বছর ৬৮-র নারায়ণ হালদারকে? আক্রোশের কারণেই কি বেয়াইকে খুন করালেন মনোহর দাস? নরেন্দ্রপুর হত্যাকাণ্ড ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। একজন সুপারি কিলার  চিত্ত হালদার। অন্যজন হলেন মৃতের জামাই নেপাল দাসের বাবা তথা এই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত মনোহর দাস। আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। পুলিসের অভিযোগ, নারায়ণ হালদারকে খুনের জন্য ধৃত চিত্ত হালদারকে ৫০ হাজার টাকার সুপারি দিয়েছিলেন মনোহর দাস। অন্যদিকে নেপাল দাসের দাবি, তাঁর বাবার কাছে খাওয়ার টাকাই থাকত না। তাঁর দাদা বাবার সমস্ত খরচ চালাতেন। সেখানে ৫০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া, তাঁর পক্ষে কীভাবে সম্ভব? যদিও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।  


আরও পড়ুন: ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’! ডোমজুড়ে Rajib-এর বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল, লাগানো হল পোস্টার


আরও পড়ুন: রাজ্যে ৩৫৬-র চেয়ে খারাপ অবস্থা: Suvendu; ক্ষমতা থাকলে করে নিক, পাল্টা Abhishek-র


মৃত নারায়ণ হালদারের মেয়ে মান্তু দাস জানান, ৩০ মে সন্ধেয় বাড়ি থেকে নারায়ণ হালদারকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। ওইদিনই রাতে তাঁরা কসবা থানায় মিসিং ডাইরি করেন। ৩১ মে রাত ১১ নাগাদ নরেন্দ্রপুরের উচ্ছেপোতা এলাকায় নারায়ণ হালদারের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হলেও, ময়নাতদন্তের পর জানা যায় খুন করা হয়েছে নারায়ণ হালদারকে। অভিযোগ ওঠে নারায়ণ হালদারের বেয়াই মনোহর দাসর বিরুদ্ধে।