নিজস্ব প্রতিবেদন: কসবায় কেন্দ্রীয় সরকারি মহিলা আধিকারিক খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছলেন কলকাতা পুলিসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। রবিবার খুনের রহস্যভেদে পানাপুকুরে নেমে তন্ন তন্ন করে খুনে ব্যবহৃত সামগ্রী। ওদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় ক্লাবের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আটক করে জেরা করছেন কসবা থানার আধিকারিকরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাতে কসবার টেগোর পার্কের একটি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক শীলা চৌধুরির দেহ। রান্নাঘরে মেলে মহিলার দেহ। রহস্যজনকভাবে রান্নাঘরের গ্যাসের পাইপ ছিল খোলা। পাইপে বাঁধা একটি দড়ি জানলা দিয়ে নেমে গিয়েছে নীচে। শোয়ার ঘরের একটি আলমারি লন্ডভন্ড অবস্থায় দেখতে পান পুলিস আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানায়, সম্ভবত মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে শীলা দেবীকে। পরিচিত কেউ খুনের পিছনে রয়েছে বলে ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিস। 


জাঙিয়ায় লুকানো প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা, পাচারকারী ডাক্তারের কাণ্ড দেখে হতবাক কারাকর্তারাও


সেই ঘটনার তদন্তে রবিবার স্থানীয় ক্লাবের বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিস আধিকারিকরা। যে বহুতলের আবাসনে শীলা দেবী থাকতেন তার নীচে একটি পানাপুকুরে রবিবার বিকেলে তল্লাশি শুরু করেন কলকাতা পুলিসের ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। মেলে যে গামছা দিয়ে গ্যাসের পাইপ খোলার দড়ি বানানো হয়েছিল তার অংশ। গোয়েন্দাদের অনুমান, পানাপুকুরে থাকতে পারে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র।


ওদিকে তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকবার এক ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করেন শীলাদেবী। সেই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্যক্তিকে খুঁজে বার করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন গোয়েন্দারা। 
তবে খুনের কারণ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় পুলিস। লুঠের জন্য খুন না কি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। যে ভাবে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাতে পাকা মাথা কাজ করেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।