নিজস্ব প্রতিবেদন : ফুটপাথের খাবার নিয়ে বিশেষ সমীক্ষা চালাল কলকাতা পুরসভা। ফাউন্ডেশন ফর কমিউনিটি সাপোর্ট নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যুরো অফ ইন্ডিয়া স্ট্যান্ডার্ড ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র যৌথ উদ্যোগে এই সমীক্ষা চালানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমগ্র কলকাতাকে ১০টি জোনে ভাগে ভাগ করে ১০৪টি জায়গায় হকারদের বিক্রি করা খাবারের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। লেভেল ১ ও লেভেল-২ এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে গোটা সমীক্ষাটি কে। লেভেল-১ এর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।  ইতিমধ্যেই একবার ফুড ভেন্ডরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তারপর তাঁরা কতটা সচেতন হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষা চালানো হয়। মূলত যে বিষয়গুলোর উপরে আলোকপাত করা হয়েছে, তা হল-


১) কী জল ব্যবহার করা হচ্ছে


২) ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা


৩) জঞ্জাল কোথায় ফেলা হচ্ছে


৪) খাবার কীভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে


৫) গ্লাভস বা অ্যাপ্রন পড়ছেন কিনা বিক্রেতারা।


জানা যাচ্ছে, এই সবকিছুর ভিত্তিতে আবার ফের ট্রেনিং দেওয়া হবে হকারদের। তারপর লেভেল-২ এর সমীক্ষা চালানো হবে। লেভেল-২ এর সমীক্ষার পর তাঁদের এক্সিলেন্ট, ভেরি গুড, গুড তকমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁদের সার্টিফিকেটও প্রদান করা হবে। যে সার্টিফিকেট দেখে ক্রেতারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, কোন খাবারটি খুব ভালো। কোন খাবারটি তার থেকে গুণমানে কম।


এই সমীক্ষা ও তারপর সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য হকারদের নিজেদের মধ্যেই একটা হেলদি কমপিটিশন শুরু হবে। যার ফলে ফুটপাথের খাবারের মান বাড়বে বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার দাবি, ফুটপাথের খাবার নিয়ে এধরনের গবেষণা ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গোটা দেশে তারা-ই প্রথম করছে। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ দাবি করেছেন, কলকাতার খাবার অন্যান্য মেট্রো সিটির থেকে নিরাপদ। বারবার পরিদর্শনের ফলে খাবারের মানের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন, পুলিসের অনুমতি মিলল, ১ মার্চ শহিদ মিনারেই অমিত শাহের সভা


গোটা প্রোজেক্টের কো-অর্ডিনেটর খাদ্য বিশেষজ্ঞ ইন্দিরা চক্রবর্তীর মতে, এখনও বেশকিছু জায়গায় একই তেল বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে। অবিলম্বে এ জিনিস বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি, আবর্জনা পরিষ্কার করা, গ্লাভস ব্যবহার করা ও পরিশ্রুত জলের ব্যবহার করা নিশ্চিত করতে হবে।