জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আচমকাই ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। কখনও ব্যাঙ্ক থেকে এসএমএস আসছে, কখনওবা এসএমএস আসছে না। ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারছেন কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। সেই টাকা পরিমাণ সব সময়ে ১০ হাজাররের কম। কয়েক দিন আগেই আসানসোলে এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। কলকাতাতেও এরকম অভিযোগ একাধিক। বলা হচ্ছে আধার কার্ডে যে আঙ্ুলের ছাপ দেওয়া হয়েছে তা ক্লোন করেই হচ্ছে এই জালিয়াতি। কিন্তু কীভাবে ব্যাঙ্কে রাখা আপনার টাকা বাঁচাবেন? এর কোনও সদুত্তর কেউ দিতে পারছেন না। তবে আপাতত আধারে যে বায়োমেট্রিক দেওয়া রয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জো বাইডেনকে ইমপিচ! মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গর্হিত কী অভিযোগ?


বিভিন্ন কাজে আমরা আধার কার্ড জমা দিয়ে রেখেছি বহু জায়গায়। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েও আধার জমা দেওয়া রয়েছে। আধার কার্ড তৈরির সময়ে আঙুলের ছাপ দিতে হয়েছিল। সেই ছাপ নকল করেই হচ্ছে জালিয়াতি। একে বলা হচ্ছে AEPS। গ্রামের দিকে বহু জায়গায় আঙুলের ছাপ দিয়ে টাকা তোলা যায়। একটি মেশিনে আঙুলের ছাপ দিলেই তোলা যাচ্ছে টাকা। রেশন তুলে গেলেও লাগছে আঙুলের ছাপ। এই দুই ক্ষেত্রেই আঙুলের ছাপ চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। এখন প্রথম কাজ হচ্ছে আধারে ওই বায়োমেট্রিক লক করা। তবে মনে রাখতে হবে আধার লক নয় আধারের বায়োমেট্রিক লক।


কী ভাবে করা যাবে ওই বায়োমেট্রিক লক? গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে এমআধার(mAadhaar)। এবার এই অ্যাপে আপনার আধার খুলতে গেলে বেশকিছু তথ্য় চাওয়া হবে। যেমন আপনার আধার নম্বর। সেই নম্বর দিলেই একটি ওটিপি আসবে আপনার আধারে দেওয়া ফোন নম্বরে। সেই ওটিপি সেখানে দিলেই আপনার আধার খুলে যাবে। এবার আধারের নীচের দিকে দেখা যাবে বায়োমেট্রিক লক। সেখানে ট্যাপ করে দিলেই সেটি লাল হয়ে যাবে। আপনার আধারের বায়োমেট্রিক লক হয়ে যাবে। ফের মনে করিয়ে দিই, আধার লক নয়, আধারের বায়োমেট্রিক লক। এটি করলেই আপনার আঙুলের ছাপ আর কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। ওই অ্যাপ থেকে আপনার আধার নামানোও যাবে। ওই নম্বর কোথায় কে ব্যবহার করছে তা বুঝতেও পারা যাবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)