ওয়েব ডেস্ক : ২১-এ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসে বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে প্রশাসন অন্যদিকে দল। শক্ত হাতে এই দুয়েরই রাশ ধরেছেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে যেমন দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ রয়েছে, তেমনই রয়েছে CMO আধিকারিক ও পুলিসকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ। অন্যদিকে রাজনীতির রং না দেখে সিন্ডিকেট, তোলাবাজির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানে নিজের দলের নেতাদেরও বার্তা দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন তিনি, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মমতার সেকেন্ড ইনিংসে প্রথম ২১-এ জুলাই। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে উঁচু মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? কী বার্তা দেবেন তাঁর দলকে? কী বার্তাই বা দেবেন তাঁর প্রশাসনকে? দলের একাংশ বলছে, দিদি এবার কড়া। তাই ২১-এর মঞ্চ থেকে রাজধর্ম পালনের বার্তাই গুরুত্ব পাবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।



গতবছর ২১-এ জুলাই সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ যে হয়নি, বেলাগাম সিন্ডিকেট রাজের ঘটনাই তা স্পষ্ট। সম্পন্ন পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে রিকশাওয়ালা, ছাতুবিক্রেতা থেকে সেলুনমালিক, এমনকী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলানো কৃষক, সিন্ডিকেট আর তোলাবাজির নিশানায় কে নেই!


ঠিক এমন একটা পরিস্থিতিতে ২১-এ জুলাইয়ের মঞ্চে উঠতে চলেছেন নেত্রী। এবার কী বার্তা দেবেন তিনি?



যে কোনও নেতারই রাজনৈতিক সত্ত্বা আর প্রশাসনিক সত্ত্বার মধ্যে বিরোধ থাকে। রাজনীতির ক্ষেত্রে যে তুখোড় বোড়ে, প্রশাসনের কাছে সেই হয়তো 'অপরাধী'। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে রাজধর্মের ন্যায়দণ্ড শক্ত হাতে ধরেছেন। সিন্ডিকেটের কোমর ভাঙতে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দল-রং না দেখেই পুলিসকে অপরাধ দমনে কড়া হতে বলেছেন। তাই এবার, ২১-এর দলীয় মঞ্চে নেত্রী মমতার থেকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে তাঁরই দলের একাংশ।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী বার্তা দিতে পারেন তিনি-


১. জনসাধারণের প্রতি সম্ভাব্য বার্তা


নারদ, উড়ালপুল দুর্নীতি, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি। হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও মমতার প্রশাসনে আস্থা রেখে ২১১টি আসনে নিরঙ্কুশ জয় এনে দিয়েছে রাজ্যবাসী। তাই প্রথম বার্তা তাঁদের পাশে থাকার, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।


২. দলের প্রতি সম্ভাব্য বার্তা


তামাম রাজ্যবাসীর সামনেই দলীয় কর্মীদের বার্তা দেবেন মমতা।  তার একটাই নির্যাস, তিনি রাজধর্ম পালন করবেন। সেই কাজে দলের কেউ বাধা হলে, তাকে বরদাস্ত করা হবে না। পুজোর পরেই পুরভোট। আর বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। দলীয় ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে যদি কেউ শহর ও গ্রামের মানুষদের বিব্রত করেন, তাঁদের যে টলারেট করা হবে না, তা সাফ জানিয়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।


৩. প্রশাসনের প্রতি সম্ভাব্য বার্তা


কলেজে শিক্ষকদের হাজিরায় কড়াকড়ি। সরকারি অফিসে হাজিরার সময় বেঁধে দেওয়া। প্রশাসনিক কাজে দম দেওয়ার চাকা ইতিমধ্যেই ঘুরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিসের কাজে যাতে কেউ হস্তক্ষেপ না করে, উনিশে মের পর প্রতিটি বৈঠকে সেকথা বলে দিয়েছেন তিনি। শক্ত হাতেই তিনি যে এবার প্রশাসনের রাশ ধরবেন, তাও জানিয়ে দেবেন মমতা।


বরাবরই সততাকে তাঁর রাজনীতির মূলধন বলে মানেন মমতা। রাজধর্মের জিওনকাঠির ছোঁয়ায়  একুশের মঞ্চ থেকে সেই সততা আর স্বচ্ছতাতেই জোর দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।