কলকাতা: ২৫ শে বৈশাখ। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে ১৮৬১ সালের পর থেকেই এই দিনটি ছিল উৎসবের। হবে নাই বা কেন? ছোট্ট রবির জন্মদিন যে এই দিনেই। এরপর বেড়ে ওঠা। বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে দেশ বিদেশ, কত শত আবিষ্কার, সৃষ্টি। তখনও কাঁটাতার দিয়ে এপার আর ওপার (ভারত-বাংলাদেশ) আলাদা করে দেওয়া হয়নি। আর দিলেও বা, কবির কি আর সীমান্ত হয়? আর নামটা যখন রবীন্দ্রনাথ তখন তিনি বিশ্বজনীন, বিশ্বকবি। পৃথিবীর ইতিহাসে এক এবং অন্যতম মানুষ যার লেখনী দুই দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত। ভারত যখন "জন গণ মন"তে কোরাস গায়, ওপার থেকে সুবাসের মতই ভেসে আসে, "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি"। ভালোবাসা কেবল যে তুলি কলমে সৃষ্টিশীলতায় ছিল, তা নয়। ঠাকুর বাড়ির কাছে ছোট্ট রবি থেকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বরাবরই ভোজন রসিক একজন মানুষ। রসিকতা যার রন্ধ্রে, প্রতিটি সৃষ্টিতে, সেখানে আহারে কেন মুখ ফিরিয়ে নেওয়া? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবীন্দ্রনাথের ভালোলাগার মেনুটা অনেকেরই জানা, তবুও আরও একবার জানিয়ে দেওয়া। সাদা চালের ভাত, পোলাও, আম আদা দিয়ে ডাল, মৌরলা মাছের পেঁয়াজি, বেগুন ভর্তা, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাঁক, আম ঝিঙে পোস্ত, শশা নারকেল দিয়ে চিংড়ি, কাচা লঙ্কা আর ধনে পাতা দিয়ে মাংস (চিকেন এবং মটন দুই'ই) আর শেষ পাতে চাটনি, পাপড়, রাবড়ি, চন্দনা পুলি, পান। এটাই হল, "কবি পক্ষে ঠাকুর বাড়ির চোদ্দ পক্ষের থালি"। 


শুনেই লোভ লাগছে? ঠাকুর বাড়িতে তো ঘূরেই এসছেন, কিন্তু এই রান্নাটা চেখে দেখারও বড় সাধ, নাটক-নাচ, গান-গল্প তো আছেই, এবার ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহলের আহারে সেলিব্রেট করুন রবীন্দ্রজয়ন্তী। রবি ঠাকুরের ১৫৬ তম জন্মদিন, তবে এটা আপনার জন্য হবে প্রথমবার, 'রবীন্দ্রজয়ন্তী, ঠাকুর বাড়ির থালিতে' আর এটাই হবে শ্রেষ্ঠ। প্রিয়জন কিংবা পরিবার, কিংবা একাকী আপনার গন্তব্য হোক লোকআহার। যোধপুর পার্কের এই রেস্তোরার একটা বিকেল কিংবা সন্ধ্যা কাটিয়ে নিন 'ঠাকুর বাড়ির থালি'র সঙ্গে। ৩১ মে পর্যন্তই আপনার জন্য থাকবে, "কবি পক্ষে ঠাকুর বাড়ির চোদ্দ পক্ষের থালি"।