সৌমেন ভট্টাচার্য : বুধবার রাতে আগুন লাগে কলকাতা বিমানবন্দরে। আজ আসছে ফরেনসিক টিম। কলকাতা বিমানবন্দরের ডিপারচার সিকিউরিটি চেকিং-এর কাউন্টারের যে জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল সেই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। কারণ ফরেনসিক আধিকারিকরা আগুন লাগার গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। তারই ঠিক পাশের সমস্ত জায়গায় মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকাল থেকে সিকিউরিটি চেকিং-এর ওই কাউন্টারটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য কাউন্টারগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে এবং যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগুন লাগার ঘটনাস্থলে কলকাতা DGCA টিমের পাশাপাশি দিল্লির DGCA টিমেরও পরিদর্শনে আসার কথা। ইলেকট্রিক্যাল উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদেরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা। এয়ারপোর্ট ডিরেক্টরের নিজেরও পরিদর্শন করা সম্ভাবনা।


উল্লেখযোগ্যভাবে যে জায়গায় গতকাল আগুন লেগেছিল সেখানে কোনওভাবে দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লাগতে পারে না। বা কোনও ব্যক্তি লাইটার বা দেশলাই জাতীয় জিনিস নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না। তাহলে আগুন লাগল কী করে? একমাত্র আগুন লাগার কারণ হতে পারে শর্ট সার্কিট। আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। 


প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গতকার রাতে ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে ন'টা। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের বেরেনোর যে একাধিক গেট রয়েছে, সেখানেই ৩সি গেটের সামনে কনভয়ার বেল্টে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ! আতঙ্কে যাত্রীদের মধ্যে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দ্রুত যাত্রী ও কর্মীদের বিমানবন্দরের বাইরে নিয়ে আসেন CISF-র জওয়ানরা। বন্ধ হয়ে যায় বিমান ওঠা-নামা। 


ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৯ ইঞ্জিন। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। যুদ্ধকালীন তৎপরতার শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ৩সি গেট লাগোয়া এলাকা। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে দমকল। তারপর রাতে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।


আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: ফের সেতু-বিপর্যয় গুজরাটে! 'গড নাকি ফ্রডের কাজ'? প্রশ্ন অভিষেকের