Businessman Murder: আততায়ীর সঙ্গে আপত্তিকর চ্যাট, এলগিন রোডে ব্যবসায়ী খুনের পরই মুক্তিপণের জন্য ফোন!
মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল রাত সোয়া ১০টা নাগাদ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এলগিন রোডে ব্যবসায়ী খুনে (Businessman Murder) চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুন করে তারপরই মুক্তিপণের জন্য ফোন। শান্তিলালকে খুনের পরই সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে অভিযুক্ত। ফোন শেষ হওয়া মাত্র হোটেল থেকে এমনি বেরিয়ে যায় আততায়ী। কোনও অফিশিয়াল চেকআউট ছাড়াই হোটেল থেকে বের হয়ে যায়। হোটেলের সিসিটিভ অনুযায়ী এই সূত্র মিলেছে।
পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার ৪ দিন আগে শহরে আসে আততায়ী। মধ্য কলকাতার একটি হোটেলে ওঠে। এরপর ঘটনার আগে সোমবার সকালে ভবানীপুরের ওই গেস্টহাউসে যান শান্তিলাল ও আততায়ী। কিছুক্ষণ থেকে তারপর বেরিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় ফের দুজনে ওই গেস্টহাউজে যান।
জানা যাচ্ছে, আততায়ীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকমাস আগে আলাপ হয় শান্তিলালের। তারপর থেকে নাগাড়ে মেসেজ চালাচালি চলে। এমনকি বেশকিছু আপত্তিকর চ্যাটও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে এই চ্যাটকে হাতিয়ার করে কোনও চক্র ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিয়ে খুন করেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
টেলিফোনের তার পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। ভবানীপুরে গেস্ট হাউজে স্বর্ণব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে সেই প্রমাণ মিলেছে। মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল রাত সোয়া ১০টা নাগাদ। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টেই সূত্র মেলে যে, মৃত্যু হয়েছে তার আগেই।
রাত সোয়া ১০টা নাগাদ অপহরণকারীর নির্দেশমতো একটি হলুদ ট্যাক্সিতে ২৫ লক্ষের বেশি টাকা দিয়েছিল পরিবারের সদস্য। টাকা নেওয়ার পরই ব্যবসায়ীর ফোন ছুঁড়ে পালায় ট্যাক্সিটি। সেই ফোনের সূত্র ধরেই এলগিন রোডের ওই গেস্টহাইজের ২০ নম্বর রুম থেকে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বর্ণব্যবসায়ী এস এল বৈদ্যের দেহ।
আরও পড়ুন,
Sarsuna Murder: পড়শি বৌদির সঙ্গে দীর্ঘদিনের 'ঘনিষ্ঠতা', চরম খেশারত দিতে হল যুবককে