বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই ঘটে গেল এতবড় ঘটনা...
ওয়েব ডেস্ক : প্রেমের ফাঁদেই খুন। বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই খুন হতে হয়েছে বড়বাজারের ব্যবসায়ী হায়দর আলিকে। সোমবার একবালপুরের গলি থেকে উদ্ধার হয় হায়দরের দেহ। তদন্তে স্পষ্ট হয়, এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হায়দরের। তার জেরেই খুন। অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক..স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের ঘনিষ্ঠতা......বচসা...এরপর হাতাহাতি এবং তার থেকেই খুন। একবালপুরে যুবক খুনের প্রতি পরতে রহস্য।
আরও পড়ুন- সোনাগাছির উলটো দিকে সারা রাত পড়ে রইল এক ব্যক্তির দেহ
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাত। দুই বহুতলের মাঝের কমন প্যাসেজে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। মোবাইল থেকে জানা যায় মৃতের নাম হায়দার আলি। বড়বাজারের নামজাদা ব্যবসায়ী। ময়না তদন্তের পর জানা যায় উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হায়দরের। দানা বাঁধতে শুরু করে সন্দেহ।
উঠতে শুরু করে একাধিক প্রশ্ন।
প্রশ্ন ১: শিবপুরের বাসিন্দা হায়দর আলি কেন একবালপুর গেলেন?
প্রশ্ন ২: মৃত হায়দরের পায়ে কেন জুতো ছিল না?
প্রশ্ন ৩: উঁচু থেকে পড়ার পরও কীকরে তাঁর মোবাইল অক্ষত রইল?
এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তোলে হায়দরের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে একবালপুর থানার পুলিস। হায়দরের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখতেই মেলে রহস্যের চাবিকাঠি। দেখা যায়, সাজিদা নামে এক মহিলার সঙ্গে ঘনঘন কথা হত হায়দরের। মৃত্যুর ঠিক আগে হায়দর ও সাজিদার টাওয়ার লোকেশন এক ছিল। খোঁজ শুরু হতেই নজরে আসে সোমবার বিকেল থেকেই স্বামীর সঙ্গে বেপাত্তা সাজিদা। মঙ্গলবার বিকেলে সাজিদা ও তাঁর স্বামী শাকিলকে আটক করে পুলিস। শুরু হয় জেরা। খুনের কথা স্বীকার করে নেয় তাঁরা। জেরায় ফাঁস হয় পুরো প্ল্যান। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পরিচয় হায়দর-সাজিদার। সঙ্গে বন্ধুত্ব। তারপর ফোনে কথা। বাইরেও দেখা করতেন দু'জন। শাকিল বাড়িতে না থাকলে হায়দরকে ডেকে পাঠাতেন সাজিদা।
সোমবারও ব্যবসার কাজে বাইরে যায় শাকিল, সেই সুযোগে হায়দরকে ডেকে নেয় সাজিদা। কিন্তু, তারপরই ছন্দপতন। হঠাত্ই ফিরে আসে শাকিল। এরপরই ওপর থেকে ফেলে দেওয়া হয় হায়দরকে। শাকিল ও সাজিদাকে আদালতে তোলে পুলিস।