দেবারতি ঘোষ: বিনামূল্যে চোখে ছানি অস্ত্রোপচারের পরই 'চোখে অন্ধকার'! সেই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল স্বাস্থ্য ভবনে। রিপোর্টে উল্লেখ, গার্ডেনরিচ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটি থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। ছানি অপারেশনের সময় চোখের ভিতরের স্তরে  আবরণ তৈরি করতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং অপারেশন টেবিলে যে ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়, তার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। এই মর্মে স্বাস্থ্য ভবনকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠাল তদন্ত কমিটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গার্ডেনরিচ হাসপাতালে যে ব্যাচের ওষুধ এবং ফ্লুইড এসেছে তার মান সঠিক ছিল না বলেই সন্দেহ। ওই ব্যাচের ওষুধ যেখানে যেখানে সাপ্লাই করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। গার্ডেনরিচ হাসপাতালেও ওই ব্যাচের যে ওষুধ এখনও রয়ে গেছে তা ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে খবর স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে। সেইসঙ্গে অস্ত্রোপচার হওয়া প্রত্যেক রোগীর অপারেশনে ব্যবহৃত ফ্লুইডের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত সমস্ত উপকরণের কালচার করতে এসএসকেএম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগেও পাঠানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, আরআইও-তে ভর্তি আছেন ১৬ জন রোগী। বেশিরভাগ রোগী চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাঁদের চোখের সংক্রমণ কমানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ কমাতে কয়েকজনের অপারেশনও করা হয়েছে বলে খবর আরআইও সূত্রে।প্রসঙ্গত, চোখে ছানির কারণে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করিয়ে লেন্স বসানো হয়েছিল মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু তাতে চোখে দেখতে পাওয়ার বদলে ফল হয় উলটো! অস্ত্রোপচারের পর অনেকে 'চোখে অন্ধকার' দেখতে শুরু করেন।


এরকম জনা ৩০ রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় রিজিওনাল ইন্সস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে। সেইসঙ্গে মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটির ওটি বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের পরিবার গতকালই অভিযোগ করেন যে, মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। 


আরও পড়ুন, Brain-Eating Amoeba: মস্তিষ্ক কুরে কুরে খেল বিরল অ্যামিবা! পুকুরে স্নানের ২ দিনেই 'চিরঘুমে' ১৪-র কিশোর...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)