জ্যোতির্ময় কর্মকার: কয়লাকাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুলিসের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেন আকাশ মাঘারিয়া। অনুপ মাজির ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কলকাতা পুলিসের ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়াকে। লালার কাছ থেকে পাওয়া ডায়েরিতে আইপিএস আকাশ মাঘারিয়ার যোগসূত্র পাওয়া যায়। রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসারকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কয়লা বেল্টে যেসব আইপিএস বা আইএএস অফিসাররা দায়িত্বে ছিলেন, সেইসব জেলার অফিসারদের এক এক করে তলব করা হয়। আজ তলব করা হয় আকাশ মাঘারিয়াকে। লালার ডায়েরিতে যে কয়েকজনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে তিনি অন্যতম। কয়লা পাচারকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কী যোগ? রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে কিনা? তাও খতিয়ে দেখবে ইডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সামান্য মাছ ব্যবসায়ী। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্যবসা। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে অপরাধের দুনিয়ায় পা। তারপর আন্তঃরাজ্য কয়লা পাচার চক্রের কিংপিন হয়ে ওঠেন অনুপ মাজি ওরফে লালা। বেআইনি কয়লা খনন থেকে পাচার, কোটি কোটির কারবার তারই হাত ধরে। ইসিএল অঞ্চলে অবৈধ কয়লা খনন ও পাচার, এতে মূল অভিযুক্ত লালা। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশেই সে চালাচ্ছিল এই বেআইনি চক্র, অভিযোগ এমনটাই। বাড়ি পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়া গ্রাম। আটের দশকে স্থানীয় ইসিএলের কয়লার কুপনের মাধ্যমে কয়লা-ব্যবসায় হাতেখড়ি। স্থানীয় কোলিয়ারির এক ম্যানেজারকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হয় লালা। জেল থেকে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে, গড়ে তোলে সিন্ডিকেট। নিজের এলাকাতেই এরপর বেআইনিভাবে কয়লা তুলতে খাদান ব্যবসা শুরু করে সে। কয়লা পাচার করতে গিয়ে রানিগঞ্জ এলাকায় লালা ফের গ্রেফতারও হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের সময় থেকে, ক্ষমতার অলিন্দে যাতায়াত বাড়তে থাকে তার। 


আরও পড়ুন, Malda Child Missing: ভয়ংকর! স্নানে গিয়ে খোলা ঢাকনার ফাঁক গলে নর্দমায় ৬ বছরের খুদে, তারপর...


একদিকে বেআইনি ব্যবসার রমরমা বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বিভিন্ন রিসর্ট, কারখানার মতো প্রকাশ্য ব্যবসায় লালা তার নতুন পরিচিতি অর্জন করতে আসরে নামে। সামাজিক স্বীকৃতির লক্ষ্যে সে গ্রামে বিশাল দুর্গা পুজোর আয়োজনও করে। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা ছড়ায় লালা। বিরোধীদের দাবি, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদলের হয়ে ব্যাপক সন্ত্রাস চালায় লালার বাহিনী। রিগিং, বুথ দখল, মারপিট থেকে বিরোধী প্রার্থীদের বোর্ড গঠনে বাধা। অভিযোগ একাধিক। লালার বেআইনি ব্যবসার লাভের বড় অংশই যেত শাসকদলের কাছে। লালা প্রকাশ্যে আসত খুবই কম, সবকিছুই চালনা করত নেপথ্যে থেকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)