নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে 'বিষ' খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৫ শিক্ষিকা। বর্তমানে তাঁকে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। একরম বেপরোয়া আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্যায় ভাবে বদলির অভিযোগে গতকাল বিকাশ ভাবনের সামনে 'বিষ' খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৫ এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষিকা। এনিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। তড়িঘড়ি ওইসব শিক্ষিকাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।


আরও পড়ুন-Covid 19: সম্ভবত অতিমারির শেষ পর্যায়ে ভারত, ২০২২-র মধ্যেই স্বাভাবিক জীবন, জানাল WHO



বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে আন্দোলনকারী ওইসব শিক্ষিককে  'বিজেপি ক্যাডার' বলে উল্লেখ করলেন ব্রাত্য। তাঁর পোস্টে আজ বাম আমলে এসএসকে ও এমএসকে শিক্ষকদের অবস্থায় সঙ্গে আজকের অবস্থার তুলনা করে ব্রাত্য বসু লিখেছেন, বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে ও এমএসকে সহায়ক-সহায়িকারা নামমাত্র সাম্মানিকে কাজ করতেন। ছিল না কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা।  কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এসএসকে ও এমএসকে গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের আওতায় এনে একটি সুসংবদ্ধ চেহারা দেয়।


শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, সহায়ক, সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসে ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাৎসরিক ৩ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। প্রত্যেককে আনা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়।



আরও পড়ুন-'মমতার প্রকল্প ডোল রাজনীতি বলা ভুল', আলিমুদ্দিনকে তোপ CPM-এর পলিটব্যুরোর



ব্রাত্যর দাবি, যাঁরা ৬০ বছর বয়সে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লাখ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধেদানের ব্যাপারে অর্থ দফতরের সঙ্গে কথা চলছে। ৬০ বছর বয়সে যারা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের  ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে। মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেককের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সহ বাৎসরিক ১৮ দিন ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, এত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরেও যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।


ব্রাত্যর ওই ফেসবুক পোস্টের পর তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই আন্দোলন করা হয়েছে বলে দাবি ঋতব্রতর। এই ধরনের আন্দোলন লজ্জার, মন্তব্য সোহমের।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)