বিক্রম দাস ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। শুভেন্দু অধিকারীর ডায়মন্ড হারবারের সভায় অনুমতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস মাঠে সভায় অনুমতি আদালতের। তবে শব্দবিধি মেনে করতে হবে সভা। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। নির্দেশে জানালেন বিচারপতি। অভিষেকের গড়ে শুভেন্দুর সভায় পুলিস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবীও। প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিল আদালত। এককথায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে কাল রাজ্যে পলিটিক্যাল ডার্বি ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদিকে শুভেন্দুর বাড়ির দুয়ারে কাল অভিষেকের সভা । অন্যদিকে অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দুর সভা। গত কয়েক মাসে দুই পক্ষ-ই দুর্নীতি ইস্যুতে সরব একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। শুভেন্দু নাম না করে বলেছেন কয়লা ভাইপোকে তিনি তিহাড় জেলে ঢোকাবেন। আবার অভিষেক শুভেন্দুর নাম করে বলেছেন তিনি আসানসোলে কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এমনকি ফেরার বিনয় মিশ্রর সঙ্গেও ফোনে  কথা বলেছেন শুভেন্দু। অভিষেক বলেছেন কয়লাপাচার থেকে গোরুপাচার মামলা, তিনি টাকা নিয়েছেন প্রমাণ হলে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতে ভয় পাবেন না। পালটা শুভেন্দুও দাবি করেছেন, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে কথা তাঁর ফোন থেকে হয়েছে প্রমাণ করতে হবে।  এমনকি তাঁর গলা নকল করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'আমাদের নেতার বাড়ির সামনে উৎপাত করা ছাড়া কিছু করার নেই', কাঁথিতে অভিষেকের সভা প্রসঙ্গে দিলীপ


এরপর তাজ বেঙ্গল হোটেলে অভিষেকের ৩ বছরের ছেলের জন্মদিন পালন নিয়ে শুভেন্দুর টুইট আর সেই ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য -রাজনীতি। শিশু সুরক্ষা কমিশন সহ একাধিক ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শুভেন্দুকে। এমনকি তাঁকে শোকজের চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও শুভেন্দুর দাবি, তিনি ওই টুইটে আসলে জনগণের টাকা ব্যয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন। এর পাশাপাশি, গুরুপদ মাঝির চার্জশিটে অভিষেকের নাম না করে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। অন্যদিকে তৃণমূল দাবি করে, ছিল পুরো চার্জশিট না দেখিয়ে শুভেন্দু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।


শুভেন্দু বারে বারে বলেছেন ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটবে। অভিষেক আবার পালটা বলেছেন, গেট খুলে দিলে বিজেপিতে ৩০ জন বিধায়কও থাকবে না। সব মিলিয়ে ৩ তারিখের রাজনৈতিক ডার্বির আগেই তেতে রয়েছে দু-পক্ষ। এখন দেখান শনিবার কোন নেতা কী বোমা ফাটান!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)