ব্যুরো: ভাঙড়ে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজ্য পুলিসকে তোপ হাইকোর্টের। সত্য সামনে আসা দরকার। পুলিস গুলি চালালে, কোন পরিস্থিতিতে চালানো হল দেখা দরকার। নিজেই তিনি এই মামলার নজরদারি করবেন। বললেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১৭ জানুয়ারি ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হন মহম্মদ মফিজুল খানসহ ৪ জন। ২৫জানুয়ারি ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। সিআইডি তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্টে যায় মফিজুলের পরিবার। সেই মামলার শুনানিতেই  রাজ্য পুলিসকে তিরষ্কার করলেন বিচারপতি। 



বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, বুলেট উদ্ধার হয়েছে কি?


সরকারি আইনজীবী বলেন, না, হয়নি।


বিচারপতি- ১মাস তদন্তের পর এখনও বুলেট উদ্ধার হয়নি?


সরকারি আইনজীবী- না, উদ্ধার হয়নি, পোস্ট মর্টেম যেখানে হয়েছে সেখানে ডাক্তারের কাছে রাখা আছে।


বিচারপতি- চিকিৎসক ওই বুলেট নিয়ে কী করবেন? ব্যালেস্টিক এগজামিনেশন হয়েছে?


সরকারি আইনজীবী- না। 


বিচারপতি- এখনও হয়নি? আমি নিজে নজরদারি করব তদন্তের। সত্যটা সামনে আসা দরকার। যদি সত্যি পুলিস গুলি চালিয়ে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবে। যদি পুলিস সত্যি গুলি চালিয়ে থাকে তাহলে কী এমন দরকার পড়ল যে গুলি চালাতে হল? যদি পুলিস গুলি নাও চালিয়ে থাকে তাহলে কে গুলি চালাল? ওখানে কোনও বেআইনি জমায়েত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিস। তাহলে পুলিস গুলি চালাল কেন? এই বিভ্রান্তি দূর হওয়া দরকার। কেন FIR হয়নি? টাটা সুমোয় এসে যদি কেউ গুলি চালায়, তাহলে কে গুলি চালাল? আইনরক্ষকের গুলিতে যেকোনও ধরনের মৃত্যু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়।



বিচারপতি বলেন, সিআইডির এই মামলার তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করা উচিত। যাতে যত দ্রুত সম্ভব সত্য সামনে আসে তা দেখতে হবে। মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী  শুনানি ৪ সপ্তাহ পর।