নিজস্ব প্রতিবেদন : রেড রোড কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হল তৌসিফ ওরফে সাম্বিয়া। ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল নগর দায়রা আদালত। ধৃত মহম্মদ সোহরাব, জনি, শানুকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। ২০১৪ সালে রেড রোডে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের রিহার্সালের সময় সাম্বিয়ার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বায়ুসেনা অফিসার অভিমন্যু গৌরের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজের  রিহার্সালে বায়ুসেনার ড্রিল ইন্সট্রাক্টর হিসেবে রেড রোডে ছিলেন কর্পোরাল অফিসার অভিমন্যু গৌর। সেই সময় ব্যারিকেড ভেঙে অডি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে সাম্বিয়া। পিষে দেয় ওই অফিসারকে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই এই ঘটনা ঘটে বলে প্রথমেই অভিযোগের আঙুল ওঠে।



দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অডি গাড়ি (ইনসেটে অভিমন্যু গৌর)


ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার হয় সাম্বিয়া সোহরাব। তার আগেই অবশ্য দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় সাম্বিয়ার দুই সঙ্গী সানু ওরফে সানাওয়াজ খান ও শানু ওরফে নূর আলমকে। মূল অভিযুক্ত সাম্বিয়াকে শনাক্ত করেন সেদিন রেড রোড ও খিদিরপুর মোড়ে ডিউটিতে থাকা পুলিশ ও বায়ুসেনার কর্নেল রিচার্ড ফার্নান্দেজ। ৮২ জন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে ৫৮ দিন পর এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।


২০১৬-র ১১ মার্চ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সাড়ে ৩০০ পাতার চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড বিভাগ। চার্জশিটে বলা হয়, সেদিন অডি গাড়িতে একজনই ছিল। সে হল সাম্বিয়া। চার্জশিটে সাম্বিয়ার বিরুদ্ধে ৩০২ (হত্যা), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) ও ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। আর চার্জশিটে সাম্বিয়ার সঙ্গে নাম ছিল বাবা মহম্মদ সোহরাব এবং সঙ্গী জনি ও শানুর। প্রসঙ্গত সাম্বিয়ার বাবা মহম্মদ সোহরাব একজন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা।


আরও পড়ুন, নিয়ন্ত্রণে SDFএর আগুন, দুর্ঘটনার নেপথ্যে সম্ভবত এসি মেশিনে শর্ট সার্কিট


২০১৭ মে মাসে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট মহম্মদ সোহরাব ও দুই সঙ্গী জনি ও শানুকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা পুলিশ হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই মামলায় ফের সোহরাব ও দুই সঙ্গী জনি, শানুকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন। ৩ বছর পর আজ রায় দিলেন নগর দায়রা আদালতের বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য। দেখুন, সেদিনের ঘটনার ভিডিও-