পিয়ালি মিত্র: ধৃত অক্ষয় কুমারকে পশ্চিম বন্দর এলাকায় CISF ক্যাম্পে সাইকোলোজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল পুলিসের অনুমান। তাঁর আচরণগত কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেই তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে  পাঠানো হয়েছিল। যদিও জেরায় ধৃতের দাবি, তিনি সেই সেশনে যোগ দেননি। তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, ওই অভিযুক্ত কোম্পানির হেড ছিলেন। কোম্পানিকে প্যারেড করানো থেকে রোল কল করাতেন তিনি। এমনকি ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও রোল কল চলছিল। রোল কল করাচ্ছিলেন অক্ষয়ই। সেই সময় কয়েকজন জওয়ান গরহাজির ছিলেন। ধৃতের দাবি, তিনি কিছু-ই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না বলে সেদিন তাঁকে বকাবকিও করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ। তার জেরেই ক্ষোভ বেড়ে যায় তাঁর। তবে ঘটনা ঘটিয়ে এখন অনুতপ্ত ওই জওয়ান। বাড়িতে দুই স্কুলপডুয়া ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও মা আছেন। তাঁদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আরও অনুশোচনা হচ্ছে তাঁর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kolkata Indian Museum Shooting: ফাঁসানোর ছক কষছিল সহকর্মীরা! আত্মহত্যাও করতে চান জাদুঘরে তাণ্ডব চালানো জওয়ান?


প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বিকালে CISF জওয়ানদের রোল কল হয়। শনিবার সেই রোল কলের পর সন্ধ্যে সোয়া ৬টা  নাগাদ ব্যারাক সংলগ্ন CISF কিয়স্কে ডিউটিতে থাকা হেড কনস্টেবল এসকে মূর্তির AK47 ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল একে মিশ্রা। কিয়স্কের পাশেই একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষ, এক ইনস্পেক্টর ও ASI রঞ্জিত সারেঙ্গি। সুবীর ঘোষকে টার্গেট করে প্রথম গুলি চালান মিশ্রা। তখন সামনে চলে আসেন রঞ্জিত। পরিস্থিতি দেখে ছুটে পালান সুবীর ও ওই ইনস্পেক্টর। এরপর কার্যত গুলিবৃষ্টি করতে থাকেন অভিযুক্ত জওয়ান একে মিশ্রা। সুবীরকে খুঁজে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। একে মিশ্রার এলোপাথাড়ি গুলির থেকে বাঁচতে পারেননি সুবীর। গুলি লাগে সুবীরের ঘোষের হাতে। পরপর গুলি করার পর ব্যারাকের ৪ নম্বর ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা আটকে দেন ওই জওয়ান। ঘরের ভিতর আত্মগোপন করে নেন। তারপরই তাঁকে নিরস্ত্র করতে শুরু হয় অপরেশন মোজো।


আরও পড়ুন, Kolkata Indian Museum Shooting: এএসআই রঞ্জিত সারেঙ্গির শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় ৩টি বুলেট


খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিস। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে প্রথমে কমান্ডো বাহিনী  ভিতরে যান। সঙ্গে অস্ত্র ও টিয়ার গ্যাস। ওই জওয়ানের সঙ্গে ঘরের বাইরে থেকে কথা বলতে থাকেন পুলিস আধিকারিকরা। অভিযুক্ত জওয়ান একে মিশ্রা তখন তাঁদের জানান, অস্ত্র ছাড়া ভিতরে আসতে হবে। তাতে রাজি হয়ে ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে টিম বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পড়ে ভিতরে ঢোকে। কিছুক্ষণ ওই জওয়ানের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁকে তারপর রাজি করানো যায়। শেষমেষ সিপি এবং আইজি সিআইএসএফের সামনে আত্মসমপর্ণ করেন একে মিশ্রা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)