নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি নির্দেশে রবিবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে কার্যত লকডাউন। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত কিছুতেই রয়েছে বিধিনিষেধ। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার খোলার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে শহরের বাজারগুলোর কী ছবি? কতটা মানা হল নিয়ম? ঘুরে দেখল জি২৪ ঘণ্টা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: সেতুতে গাড়ি, দরজা খোলা, চালক নেই! নদীতে ঝাঁপ? চলছে খোঁজ


রবিবার সকাল থেকে বৈঠকখানা বাজারে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। সকাল ৯টা ৫৫ নাগাদ মুচিপাড়া থানার আধিকারিক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল বাজারে ঢোকে। ৯টা ৫৮ মিনিট থেকে বাজার বন্ধ করার জন্য মাইকিং শুরু করে পুলিশ। সকাল ১০.০৫-এর মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হয় বাজার চত্বর। সঞ্জীব মুখোপাধ্যায় জানান, আগামী পনেরো দিন এভাবেই বাজার বন্ধের অভিযান চালাবেন তাঁরা।


মানিকতলা বাজারেও একই  ভিড়ের ছবি৷ মুখে মাস্ক থাকলেও দূরত্ববিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ৷ নিউটাউনের মিশন বাজারেও উপচে পড়া ভিড় ছিল। অভিযোগ, ১০টার পরেও বাজার খোলা রাখায় অভিযানে নামে পুলিশ। লাঠি উচিয়ে বাজার বন্ধ করা হয়। নির্দেশিকা না মানায় নিউটাউনের মৃধা মার্কেট থেকে একজনকে আটকও করে নিউটাউন থানার পুলিশ। যদিও এসবের একটু উলটো ছবি ছিল শ্যামবাজার৷ সেখানে তুলনামূলক ভিড় কম ছিল৷ শনিবার সন্ধেতেই বেশিরভাগ মানুষ বাজার সেড়েছেন বলে সূত্রের খবর৷  


আরও পড়ুন:  কার্যত লকডাউনে শিয়ালদহে Taxi-র আকাল, নাজেহাল যাত্রীরা


শহর লাগোয়া সোনারপুর, বারুইপুরেও একই ভিড়ের ছবি। রবিবার সকাল থেকে বারুইপুরের কাছারি বাজারে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। সবজি বাজারে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও, মুদিখানার দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শিকেয় ওঠে দূরত্ববিধি। অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের মুখে ছিল না মাস্ক। অন্যদিকে বারুইপুর থানা এলাকার বহু বাজার ১০টার পরেও খোলা থাকায়, অভিযানে নামে পুলিশ। বারুইপুরের এসডিপিও (SDPO) অভিষেক মজুমদার এবং আইসি (IC) দেবকুমার রায়ের নেতৃত্বে অভিযানে নামে পুলিশ বাহিনী। বারুইপুরের কাছারি বাজার, হাসপাতাল বাজার, পুরাতন বাজার ও ফুলতলা বাজার থেকে মোট ১২ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ১২টি ওজন মাপার যন্ত্রও।