নিজস্ব প্রতিবেদন: জন্মের সার্টিফিকেটে বানান ভুল কিংবা প্রেসক্রিপশনে নামের বানানে সমস্যা কখনও বা ডেথ সার্টেফিকেটে তথ্যের ভুল। এমন হাজারও সমস্যায় আখছাড় পড়েন অনেকেই। এদিকে তৎক্ষণাৎ কোথায় কীভাবে আবেদন করলে মিলবে সুরাহা তাও জানা থাকে না বেশিরভাগ সময়েই। বিস্তীর্ণ হাসপাতাল চত্বরে খেই হারিয়ে ইতস্তত ঘুরে বেড়ান রোগী বা তাঁর পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পথ নিরাপত্তায় আরও কড়া কেন্দ্র, বেনিয়মে জরিমানা হতে পারে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত


তবে চিন্তা নেই! এহেন গলদঘর্ম অবস্থা দূর করতেই রয়েছেন স্বাস্থ্য-বন্ধু। কলকাতা মেডিক্যালের কলেজ ও হাসপাতালের দেওয়ালেই লেখা রয়েছে মুশকিল আসনের ফোন নম্বর। যে কোনও সমস্যায় শুধু তাঁর নম্বরটি ডায়েল করলেই হাজির হবেন তিনি। বেহালার সরসুনার বাসিন্দা অশোক পাল। লেখালেখি আর আবদনের সমস্ত সমস্যা সমাধান করে দেন ভালবেসেই। বয়স ৬৮-র এই ব্যক্তিকে খুশিকে হয়ে যে যা দেন তা নিয়েই খুশি হন অশোকবাবু। দীর্ঘদিন এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছেন তিনি। ফোন গেলেই চলে আসেন সাহায্য করতে। শরীরে দেয় না তবু আসেন সাহায্য করতে।



বাড়িতে অনটন। তবে অসহায় নিরক্ষর প্রান্তিক মানুষকে সাহায্য করে তিনি যেন মেডিক্যাল কলেজের অসহায় মানুষগুলোর স্বাস্থ্যবন্ধু। হাসপাতালের এক রোগীর আত্মীয় লতা মুখার্জি বলেন, "ডেথ সার্টিফিকেটে বয়স আর বানান ভুল ছিল। ফলে LIC আর অন্যান্য কাজ আটকে গিয়েছিল। উনি লিখে দিয়েছিলেন। কাজ হয়ে গিয়েছে। ২০ টাকা দিলাম মুড়ি খেতে।" বরাণগরের বাসিন্দা রঞ্জিত মন্ডল নিজে ভর্তি ছিলেন। ছুটির সময় দেখেননি নামে ভুল রয়েছে। কাজের জায়গায় জমা দিতে গিয়ে বিপত্তি। তারও পাশে দাঁড়িয়েছেন এই 'স্বাস্থ্য বন্ধুর'। খুশি অশোকও। শীর্ণকায় চেহারার মানুষটি এদিন কাঁপা কাঁপা গলাতেই বললেন, আমি আর্থিক ভাবে খুব কষ্টে রয়েছি। এখানে অসহায়দের সাহায্য করি। আমিও অসহায়। খুশি হয়ে লোকে ১০ টাকা ২০ টাকা যা দেন আমার চলে যায়।