আগুনের আতঙ্ক, আত্মহত্যা সন্ধ্যায় পাতালে বিভ্রাট
ছুটির সন্ধ্যায় ভোগান্তির জোড়া ফলার ফাঁসে আটকালেন মেট্রো যাত্রীরা। আগুনের গুজবে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয় চাঁদনি চক স্টেশনে। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। অবস্থার সামাল দিতে না দিতেই এসপ্ল্যানেডে লাইনে ঝাঁপ দেন এক যুবক। ফের বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
কলকাতা: ছুটির সন্ধ্যায় ভোগান্তির জোড়া ফলার ফাঁসে আটকালেন মেট্রো যাত্রীরা। আগুনের গুজবে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয় চাঁদনি চক স্টেশনে। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। অবস্থার সামাল দিতে না দিতেই এসপ্ল্যানেডে লাইনে ঝাঁপ দেন এক যুবক। ফের বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
TIME LINE
বিকেল ৫.৩০
নোয়াপাড়াগামী ট্রেন চাঁদনি চক স্টেশনে ঢুকতেই বিপত্তি। চালকের পিছন দিক থেকে হঠাত্ বিকট আওয়াজ। আলো নিভিয়ে দেন চালক। আগুনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুজব ওঠে, ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। গাড়িতে তখন অসংখ্য মানুষ। ইদের বাজার সেরে ফিরছিলেন অনেকে। দরজা খুলতেই যেন প্ল্যাটফর্মে ঝাঁপিয়ে পড়লেন যাত্রীরা। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি। হুড়োহুড়িতে তখন পদপিষ্ট হওয়ার অবস্থা।
বিকেল ৫.৩৫
অসহায় মেট্রোকর্মীরা। কর্তব্যরত পুলিস তখন স্টেশন ছেড়ে উধাও। দমকল আসে। অ্যাম্বুলেন্সও পৌছয়। আহত যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিত্সা করা হয়। চূড়ান্ত অব্যবস্থায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা।
বিকেল ৫.৪০
পাওয়ার ব্লক করে দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ময়দান থেকে গিরিশ পার্কের মধ্যে আরও কয়েকটি ট্রেনে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
সন্ধ্যা ৬.৩০
বেশ কিছু সময় বন্ধ থাকার পর সবেমাত্র ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এবার দুর্ভোগ ধর্মতলা স্টেশনে । নোয়াপাড়াগামী মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। পাওয়ার ব্লক করে দেহ তোলা হয়।
সন্ধ্যা ৭.১৫
স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
আতঙ্কের মেট্রোসফর আর কতদিন? কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে কবে? এইসব প্রশ্ন নিয়েই মেট্রোয় উঠছেন যাত্রীরা।