Shantipur| Nadia: ছুটি পেয়ে পুজোয় ঘরে ফিরেছিলেন, এলাকার যুবকদের হাতেই প্রাণ গেল পরিযায়ী শ্রমিকের

Shantipur| Nadia: সুমন দাসের এইভাবে মৃত্যুর ঘটনায় বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা লক্ষ্মী রানী দাস-সহ গোটা পরিবার। ঘটনার দিনই শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার

Updated By: Nov 11, 2024, 02:36 PM IST
Shantipur| Nadia: ছুটি পেয়ে পুজোয় ঘরে ফিরেছিলেন, এলাকার যুবকদের হাতেই প্রাণ গেল পরিযায়ী শ্রমিকের

বিশ্বজিত্ মিত্র: এক পরিযায়ী শ্রমিকের গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার শান্তিপুরে। ছেলেকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা। নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া যশোদা নন্দ প্রামানিক স্ট্রিটের ঘটনা।

আরও পড়ুন-সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থীর প্রার্থীপদ বাতিলের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

মৃত যুবকের ভাই মোহন দাসের দাবি, কালীপুজোর দিন দাদা সুমন দাস মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে ফেরে। বেশ কয়েক বছর ধরে কর্মসূত্রে মহারাষ্ট্রের একটি হোটেলে কর্মরত ছিল দাদা। এরপর কালীপুজোর শোভাযাত্রার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ৩ তারিখে শান্তিপুর গ্যাস গোডাউন সংলগ্ন চৌমাথার মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিল দাদা। অভিযোগ তখনই রাস্তা দিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশ কিছু যুবকের সঙ্গে বচসা হয়।

মোহনের অভিযোগ, বচসা বাধতেই দাদাকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে যুবকেরা। মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লে পুলিস সুমনকে নিয়ে যায় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকেরা। এরপর অবস্থার আরো অবনতি হলে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সুমনকে। তবে শেষ রক্ষার আর হল না। ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শনিবার বিকেলে সুমনের মৃত্যু হয়। গতকাল সন্ধ্যায় শান্তিপুর মহাশ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করা হয়।

সুমন দাসের এইভাবে মৃত্যুর ঘটনায় বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা লক্ষ্মী রানী দাস-সহ গোটা পরিবার। ঘটনার দিনই শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের আদালতে পেশ করলে আদালত জেল হেফাজতে নির্দেশ দেয়। ধৃতদের নাম সোনাই সাহা, রাকেশ সেখ দফাদার, চাঁদু শেখ দফাদার, ও ঝন্টু দাস। তবে ঘটনারচক্রে মূল অভিযুক্ত সাগর দাস নামে এক যুবককেই দায়ী করছে পরিবার। যদিও এখনো সে অধরা। এখন পরিবারের একটাই দাবি, যারা সুমনকে এভাবে হত্যা করল তাদের ফাঁসি চাই। অন্যদিকে ঘটনাচক্রে আরো কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছে শান্তিপুর থানার পুলিস।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)

.