ওয়েব ডেস্ক: তলায় সুড়ঙ্গ, মাথায় বিপদ। দু দিক সামলে এগোতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গঙ্গার তলা দিয়ে শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। সম্প্রসারণের কাজে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রেবোর্ন রোডের ৯টি বুড়ো বাড়ি। বয়সের ভারে থুড়থুড়ে বাড়ির নিচ দিয়ে কীভাবে সুড়ঙ্গ তৈরি করা যায়, তা নিয়েই পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতা থেকে হাওড়া। ৫২০ মিটার চওড়া গঙ্গা। জুনের গোড়াতেই  সুড়ঙ্গ ভেদ করে ব্রেবোর্ন  রোডে ঢুকে পড়বে সুড়ঙ্গ তৈরির টানেল বোরিং মেশিন। জুনের শেষেই গঙ্গা পেরিয়ে এক নম্বর মেশিনটিও কলকাতার দিকে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু করে দেবে। ওই একই পথে। কিন্তু গঙ্গার তলায় কাজ যতটা মসৃণ ভাবে এগোচ্ছে, কলকাতার দিকে ততটা কি  সহজ গোটা কর্মকাণ্ড? ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রেবোন রোডের ওপরে থাকা ৯টি বাড়ি। কারণ, নটি বাড়ির অবস্থাই ঝুরঝুরে। বয়সের ভারে জীর্ণ। বাড়ি গুলিতে রয়েছে প্রচুর অফিস ও গোডাউন। মেরামতির অভাবে সবকটি বাড়িই কমজোরি হয়ে পড়েছে। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। কোথাও আবার মাথার ওপর বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বড় বড় চাঙড়। সিঁড়ির রেলিং ভেঙে ঝুলছে। কোনও  কোনও বাড়ির একদিক মাটিতে বসে গেছে। দেওয়ালে ফাটলের চিহ্ন স্পষ্ট। সবমিলিয়ে বিপজ্জনক অবস্থা।


থুড়থুড়ে বাড়ি। ব্রেবোর্ন রোডের এই জায়গাতেই মাটির প্রায় ৩০ মিটার নিচ দিয়ে তৈরি হবে টানেল। সাধারণভাবে মাটির এত গভীরে সুড়ঙ্গ তৈরি হলে ওপরে কোনও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টা আলাদা। কারণ বাড়িগুলির একটিরও অবস্থা ভাল নয়। তাই রিস্ক ফ্যাক্টর অনেক বেশি। 


মেট্রো কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পরিষেবা মানুষের সুবিধার জন্যেই। তাই  কেউই যাতে বিপদে না পড়েন সেটিই মূল লক্ষ্য তাদের। আর তার জন্য দরকার প্রশাসনিক সহযোগিতা। 


মেট্রো রেলের দাবি, ইতিমধ্যেই তারা এনিয়ে কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছে।  মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি,  পুরসভার কাছে এনিয়ে এখনও কিছু জানায়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তাব এলে সবটাই খতিয়ে দেখা হবে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।