কমলাক্ষ ভট্টাচার্য


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুর্ঘটনা বড়সড় আকার নিতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি। কিন্তু ময়দান মেট্রো স্টেশনে আগুনের ঘটনার দায় কার? এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কি ভাবে সামলানো সম্ভব? ঘটনার তিনদিন পর অবশেষে তদন্ত শুরু করল মেট্রো রেল।


কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস (ইস্টার্ন) মহঃ লতিফ খানের নেতৃত্বে রবিবার সাতসকালে ময়দান স্টেশনে পরিদর্শন শুরু হয়। তলব করা হয় ডেপুটি সিআরএস, চিফ ইলেকট্রক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, চিফ সিগন্যাল টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারকে।


আরও পড়ুন- উত্তর প্রদেশে উন্মত্ত জনতার হাতে খুন হলেন আরও ১ পুলিসকর্মী


রবীন্দ্রসদন থেকে ময়দানের মাঝে দূর্ঘটনাস্থল থেকে প্লাটফর্মের দুরত্ব মাপজোক, থার্ড রেলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে ১৭ মিনিট সময় লাগল কেন? মোটরম্যানের ভুমিকা কী ছিল? আজ সিআরএসের তদন্তে গুরুত্ব পাবে এগুলিই। সুত্রের খবর ময়দানে একটি মেট্রোর রেক রেখে সেদিনের ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হবে। ময়দান স্টেশনে মজুত রাখা হয়েছে ফায়ার টেন্ডার। আছেন দমকল কর্মীরাও।


পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গড়েছে দমকল বিভাগ। আগামী ৩ সমস্ত মেট্রো স্টেশনের আপতকালীন ব্যবস্থা  খতিয়ে দেখবে দমকলের কমিটি।


উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সওয়া পাঁচটা নাগাদ কবি সুভাষগামী মেট্রোর একটি এসি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন যাত্রীরা। টানেলের মধ্যে মেট্রোর এসি কামরায় আগুন লেগে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী।



আরও পড়ুন-বছরের শেষ রবিবারে বাড়ল তাপমাত্রা


এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পার্কস্ট্রিট থেকে সবে মেট্রোটি ছেড়েছিল। স্টেশন ছেড়ে ১০ মিটার যাওয়ার পর টানেলের মধ্যে মেট্রো রেকে আগুন লেগে যায়। কাচ ভেঙে অনেক যাত্রী বেরনোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর ফলে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। হাত কেটে রক্ত বেরিয়ে যায় অনেক যাত্রীর। উদ্ধারকারীরা গিয়ে জানলার কাচ ভেঙে যাত্রীদের বার করে আনেন।


মেট্রোর মধ্যে আটকে থেকে অনেকবার ফোন করে অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কেউই ফোন ধরেননি বলে অভিযোগ বহু যাত্রীর। ২০ মিনিট টানেলে দাঁড়িয়ে থাকে মেট্রো। যাত্রীরা জানলার কাচ ভেঙে ৭-৮ ফুট উচু থেকে লাফ দেন। টানেলে ধরে বহু যাত্রী হেঁটে এসে স্টেশনে পৌঁছন।