নিজস্ব প্রতিবেদন:তিনটি আলাদা ঘটনা। কিন্তু অভিযোগ একটাই। অভিযোগ, করোনা আক্রান্তের দেহ সৎকারে টাকা নিয়ে জুলুমবাজি করছেন পুর কর্মীরা। সেই অভিযোগ পেয়েই নড়চড়ে বসল কলকাতা কর্পোরেশন। তড়িঘড়ি ৫ কর্মীকে সাসপেন্ড করলেন কর্পোরেশনের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন পিস ওয়ার্ল্ডের নিরাপত্তারক্ষী, নাম শম্ভু মণ্ডল। আনন্দ মল্লিক কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ডোম। বাকি তিনজন কর্পোরেশনের শববাহী গাড়ির চালক ও খালাসি। নাম, সমীর হালদার, সঞ্জয় রজক ও বিশ্বজিৎ মণ্ডল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ জুন। অভিযোগ ওঠে, করোনায় মৃত এক ব্যক্তির পরিবারের কাছে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেন পিস ওয়ার্ল্ডের নিরাপত্তারক্ষী শম্ভু মন্ডল। মৃতদেহটি দ্রুত পিস ওয়ার্ল্ডে ব্যবস্থা করে দেওয়া বিনিময়ে সেই টাকা দাবি করেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্পোরেশন। অভিযুক্ত শম্ভু মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জুন। এখানে অভিযোগ, কেওড়াতলা মহাশ্মশানের ডোম আনন্দ মল্লিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দেহ দ্রুত দাহ করার পরিবর্তে মৃতের পরিজনদের থেকে ৫০০০ টাকা নেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করেন। ৫০০০ টাকা ফেরৎ দেন। এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।


আরও পড়ুন: কামারহাটি জুট মিলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন


আরও পড়ুন: কই ঘরছাড়া কর্মীদের নাম-ঠিকানা দিন, Tathagatha-কে তাগাদা Chandrima-র


তৃতীয় ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। অভিযোগ সিরিটি শ্মশান থেকে একজন ফোন করে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে জানান, কর্পোরেশনের শববাহী গাড়ির চালক ও খলাসিরা বাড়তি টাকা চাইছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হওয়া সমীর হালদার, সঞ্জয় রজক ও বিশ্বজিৎ নস্করকে সাসপেন্ড করা হয়।