KMC: কলকাতা পুরসভায় মারধর-খণ্ডযুদ্ধ! কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র সভাকক্ষ
KMC-কাণ্ডে বিতর্কের ঝড়। কলকাতা পুরসভায় ধুন্ধুমার। শাসক-বিরোধী কাউন্সিলরদের নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা। কক্ষের মধ্যে হাতাহাতি দু-পক্ষের। মুলতুবি অধিবেশন।
দেবারতি ঘোষ: কলকাতা পুরসভায় বেনজির ধুন্ধুমার। এবার শাসক ও বিরোধী কাউন্সিলরদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র সভাকক্ষ। চেয়ারপার্সনের মন্তব্যে বিরোধিতার জের। সজল ঘোষ, বিজয় ওঝাকে পাল্টা তৃণমূলের। মারধর, হুলস্থুলে বানচাল অধিবেশন। কক্ষের মধ্যেই কলার ধরে মার, ঘাড়ধাক্কা। মেয়রের হাতজোড়, অনুনয়-বিনয়েও হল না কাজ। শাসক-বিরোধী কাউন্সিলরদের নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা। ঘটনায় নিন্দা সবমহলে।
আরও পড়ুন, Entally: যাদবপুর-আর জি করের পরে এবার কলকাতারই এক কলেজে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ...
এমনকী মারধর, হুলুস্থুলে বানচাল হয়ে যায় অধিবেশন। শনিবার পুরসভার সাপ্তাহিক অধিবেশনে প্রথমে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হতে হতে হঠাৎই দুই কাউন্সিলর মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সজল।
সজল ঘোষের বক্তব্য, আমাদের উপর প্রথম আক্রমণ হয়। মেয়র ও চেয়ারপার্সনের সামনে হামলা হয়। সব দেখেও চুপ ছিলেন চেয়ারপার্সন। তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুর নেতৃত্বে আক্রমণ হয়। সজল ঘোষ বলেন, 'অসীম বসু আগে বিজেপি করত। এখন নতুন তৃণমূল প্রমাণ করতে হাতাহাতি এবং অশ্লীল গালাগালি দিচ্ছেন। বাংলায় গণতন্ত্র কোথায়? ধাক্কাধাক্কি করছেন, কলার ধরেছেন। মেয়র বসে দেখছেন। এটা কী প্রহসন চলছে। আমরা তো দুজন। ওরা তো ২০ জন। কার কাছে অভিযোগ জানাব? সারা বাংলা ঘটনাটা দেখেছে।'
অসীম বসুর কথায়, 'সজলও কাউন্সিলর। হতে পারে অন্য দলের। সকলেরই পরিবার আছে। কাউন্সিরলরা অন্যগ্রহ থেকে আসেনি। এভাবে চোর চোর বলে মেলাইন করছে। ও কি সাধু? এভাবে চোর বললে এরকম প্রতিক্রিয়া বারবার হবে। কোনও ধাক্কা-মারামারি হয়নি। কেবল প্রতিক্রিয়া মাত্র।সজল ভালো ছেলে,ছোট ভাই। কিন্তু উক্তত্য করে।' কলকাতা পুরসভায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক চেয়ারপার্সন, মেয়র, ডেপুটি মেয়র দেবাশীষ কুমারের।
আরও পড়ুন, Dumdum Train Derailed: দমদম স্টেশনে লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা!