নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুরে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনায় সক্রিয় পুলিস। প্রত্যেক থানাকে হল হয়েছে, বাইক পেট্রোলিং মাধ্যমে এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিয়মিত বিশেষভাবে নজর দিতে। পাশাপাশি, পুলিসের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে, প্রতিটা এটিএম নতুন করে পরীক্ষা করতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জালিয়াতির ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, ২০১৯-এর এপ্রিল মাসে একটি এটিএম-এ স্কিমিং মেশিন পাওয়া গিয়েছিল। সেইসময়ই গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল প্রতারকরা। এখন সেই তথ্য কাজে লাগিয়েই হ্যাক করা হচ্ছে অ্যাকাউন্ট। উল্লেখ্য, সেইসময় প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হলেও, সবাই ধরা পরেনি। যারা সেই সময় ধরা পড়েছিল, তাদেরকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।


প্রসঙ্গত, গত ৪৮ ঘণ্টায়  একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করেছে যাদবপুর থানায়। রবিবার মোট ১৪টি এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। সোমবার অন্তত ১০  থানায় এসেছেন অভিযোগ জানাতে। অভিযোগ, দিল্লির এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।


প্রতারিত এক গ্রাহক জি ২৪  ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, রবিবার তাঁর মোবাইলে দুটি এসএমএস আসে। সেখানে লেখা, দিল্লি একটি এটিএম থেকে দুবার ১০ হাজার টাকা করে তুলে নেওয়া হয়েছে। ওই এসএমএস পাওয়ার পরই ব্যাঙ্কের হেল্পলাইনে ফোন করেন তিনি। তাঁকে বলা হয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নিকটবর্তী থানায় গিয়ে একটি এফআইআর করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন, রোগীর খাবার চুরি করে বিক্রি! তদন্ত কমিটি গঠন করল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ


তদন্তে নেমে এলাকার প্রায় সব এটিএম পরীক্ষা করে দেখা হয়।  খুঁটিয়ে দেখা হয় ওইসব এটিএমে কোনও ডিভিইস বসানো হয়েছে কিনা। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, যাদবপুরের ওইসব প্রতারিত গ্রাহকরা এরমধ্যে কারও সঙ্গে এটিএম পিন বা অন্য কোনও তথ্য আদানপ্রদান করেননি। কিন্তু তারপরেও গায়েব হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতেই এপ্রিল জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজতে শুরু করে পুলিস।