নিজস্ব প্রতিবেদন: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। কসবা ড্রেস কোডকাণ্ডে থানার ডিউটি অফিসারের বিরুদ্ধে শুরু হল বিভাগীয় তদন্ত। রেহাই পেলেন না কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারও। হাজার টাকা জরিমানা করা হল কনস্টেবলকে। আপাতত ১০ দিন কাজ পারবেন না অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ির কাছেই মন্দিরে চুরি হয়ে গিয়েছে। কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন অভিষেক ও বার্নিক নামে দু'জন যুবক। তারপর? বার্নিকের কথায়, থানা থেকে তাঁদের জানানো হয়, 'আপনারা হাফ প্যান্ট পড়ে রয়েছেন। বাড়ি থেকে ফুল প্যান্ট পরে আসুন'! ঘটনায় রীতিমতো হতবাক হয়ে যান অভিযোগকারী ওই দুই যুবক। শেষপর্যন্ত অবশ্য তড়িঘড়ি বাড়িতে গিয়ে পোশাক বদলে আসেন দু'জনেই। এরপর অভিযোগ নেওয়া হয় থানায়। সাহায্যও করে পুলিস।


আরও পড়ুন: East West Metro: শনিতেই ট্রায়াল, Sector V থেকে Sealdah ছুটবে মেট্রো


এখন প্রশ্ন হল, থানায় যেতে গেলে কি সত্যিই ড্রেস কোড মানতে হবে? কৌতুহল জাগে ওই দুই যুবকের মনে। যদি তেমনটা হয়ে থাকে, তাহলে তো সাধারণ নাগরিকদের তা জানা উচিত। কলকাতা পুলিসের টুইটার হ্যান্ডেলে প্রশ্ন করেন তাঁরা। প্রথমে অবশ্য় কোনও উত্তর মেলেনি। অভিষেকের কথায়, কলকাতা পুলিসের বিভিন্ন অফিসিয়াল আইডিতে মেল করি। এরপর টুইটারে ম্যাসেজ অপশন প্রশ্ন করে উত্তর পাই'। কী জবাব দিল কলকাতা পুলিস? তাদের পাল্টা প্রশ্ন, 'আপনি কি শর্টস পরে অফিসে যান'? 


আরও পড়ুন: রাজ্যে তৈরি হতে চলেছে আরও ৬টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল


এদিকে এই খবর জি ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন লালবাজারের কর্তারা। কলকাতা পুলিসের এক অ্যাসিস্ট্যান্ড কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দেন যাদবপুরের ডিসি রশিদ মুনির খান। প্রাথমিক তদন্তে কসবা থানার ডিউটি অফিসার-সহ তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিন অভিযুক্তদের ডেকে পাঠানো হয় যাদবপুরের ডিসির অফিসে। কেন এমন আচরণ? কসবা থানার ডিউটি অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। শাস্তির মুখে পড়লেন থানার ১ কনস্টেবল ও ১ সিভিক ভলান্টিয়ার।   


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)